পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719378281](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বহুল আলোচিত ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র জন্য ডিজিএফআই এবং সেনাবাহিনীর চেয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সংস্কারপন্থিরা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ। তিনি বলেন, মাইনাস টু ফর্মুলা তাদের পরিকল্পনা ছিলো। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংস্কারপন্থিরা চেয়েছিলো শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত ‘পিলখানা ট্রাজেডি স্মরণে’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ৭ বছর আগে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন হান্নান শাহ।
হান্নান শাহ বলেন, নীলনক্সার অংশ হিসেবে ৫৪ সেনা অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পরেও কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং ষড়যন্ত্রকারী দিল্লীর কর্তাদের সঙ্গে দুপুরের নামি-দামি হোটেলে খাবার খেয়েছেন। সেদিনই তিনি গণভবনে বসে সেনা হত্যাযজ্ঞের চিত্র সরাসরি টিভিতে দেখেন। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সঙ্গে প্রকৃত জড়িতদের ভবিষ্যতে সেনা আইনের মাধ্যমে বিচার হবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওই সময়ে অনেক সাংবাদিক বিভিন্ন রকম সংবাদ ছেপেছে। তার মধ্যে মাহফুজ আনাম অন্যতম। যদি তার বিচার করতে হয়, তাহলে তার পেছনে যারা ছিলো, তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে যারা সংবাদ পরিবেশনে বাধ্য করেছে; তাদের বিচার আগে হওয়া উচিত। এক এগারোর সময়ে অনেক সাংবাদিকের পেছনে সেনা কর্মকর্তারা বসে থাকতেন এবং সংবাদ পরিবেশনে বাধ্য করতেন বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নীতি নির্ধারক।
জাপগার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, এক এগারোর ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী সেনা অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একদিন এই হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। না হয় বারবার ওদের আর্তনাদ আমাদের শুনতে হবে। হত্যাকারীদের পিলখানা থেকে সরে যেতে আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতারাই সহযোগিতা করেছেন। সময় আসলে এর সবকিছুই বেরিয়ে আসবে।
পিলখানা ট্রাজেডি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও জাগপার কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবু মোজাফফর মো. আনাসের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জাগপা সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।