পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফটিকছড়ি উপজেলা সংবাদদাতা : বিয়ের সব আয়োজন শেষ; বিয়েবাড়িতে সানাই বাজছিল। অতিথি আর গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে বর-কন্যার বাড়ি ভরপুর। কনেপক্ষ সব খাবার-দাবার তৈরি করে বরযাত্রী আপ্যায়নের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বিয়েপূর্ব রাতে কনের হাত মেহেদিতে রঙিন হয়ে গেছে। খুশি-আনন্দে উৎফুল্ল বর-কনে পরিবার। বাকি শুধু বরযাত্রা-আক্দোত্তর বউ নিয়ে বাড়ি ফেরা। ঠিক সকাল ১১টা; সে মুহূর্তেই খবর পৌঁছে বরের মৃত্যু ঘটেছে। এ দুঃসংবাদে দু’পরিবারেই সব আনন্দ নিমিষেই বিষাদে পরিণত হয়। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ফটিকছড়ির দৌলতপুর ইউপির কুম্ভারপাড়া এলাকায়।
জানা যায়, সৌদি প্রবাসী বর মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (২৭) ওই এলাকার মৃত আবুল হোসেন ড্রাইভারের ছেলে। গতকাল বুধবার একই উপজেলার সুয়াবিল ইউপির বারমাসিয়া গ্রামের জনৈক সামশুল আলমের মেয়ে পারভীন আকতারের সাথে তার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বিয়ের দিনই চমেক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর! তার এ অকাল মৃত্যু নিয়ে গ্রামে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তার নিকটজনদের দাবি, বর জয়নালকে দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা করেছে তারই প্রতিবেশী এক ভাবী। রিনা আকতার (২৮) নামীয় ভাবী ওই এলাকার প্রবাসী মুহাম্মদ জানে আলমের স্ত্রী।
গোপন সূত্র জানায়, জয়নাল সৌদিতে ভালো টাকা-পয়সা রোজগার করত। এ টাকা-পয়সার লোভে তার সাথে পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রবাসীর বউ রিনা। এ সম্পর্ক ইতি টানতে নারাজ ওই প্রবাসীর বউ। ক্ষোভে বেপরোয়া রিনা কৌশলে ডেকে পাঠিয়ে তরল দুধে বিষ মিশেয়ে তাকে খেতে দেয়। মূলত জয়নাল অন্য একজনকে বিয়ে করে সংসার করুক, এটি মেনে নিতে নারাজ ভাবী রিনা। তার দেয়া বিষাক্ত তরল দুধ খেয়ে গত মঙ্গলবার সকালের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত জয়নালকে নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে তার অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার পর তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে জয়নাল নিজেই বলে, ‘দুপুরে বাড়ি পৌঁছে বিয়ের সব কাজ সম্পন্ন করব।’ কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। মেহেদি দেয়া তো হয়ইনি; বরং ২২ ঘণ্টার মাথায় সে নিজেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।