পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত পরিবর্তনের চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আবেদনে রুল জারির আরজি জানিয়ে মামলার কার্যক্রমের ওপরও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার আবেদনটি উপস্থাপনা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
ঢাকা ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে মামলাটি বিচারের শেষ পর্যায়ে আছে। একই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজও চলছে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনটি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে আরো অনেক মামলা বিচারাধীন। সেসব মামলায় এক-দেড় মাস পর পর দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে কোনো কোনো সপ্তাহে দুই দিন ধার্য করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মতো তিনি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই তাড়াহুড়া করা হচ্ছে। এই আদালতে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন না।
আবেদনে আরো বলা হয়, এই মামলার দুইবার তদন্ত করেছেন। প্রথম দফায় দুদকের কর্মকর্তা নূর আহমেদ মামলার অভিযোগ থেকে খালেদাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ওই তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার জন্য কুয়েতের আমির অর্থ দিয়েছেন। কিন্তু দুদক এই মামলায় নতুন কর্মকর্তা হিসেবে হারুনর রশিদকে নিয়োগ দেন। এই তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে বলেছেন, টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। এখানে খালেদা জিয়া জড়িত। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া পুনরায় তদন্ত চেয়ে আবেদন করলে সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এমতাবস্থায় ওই আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব না। তাই অনাস্থা জানিয়ে আবেদন করেছি।
তিনি আরও বলেন, এ আবেদনে মামলাটি কেন ওই আদালত থেকে অন্য আদালতে বদলির নির্দেশ দেয়া হবে না, এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন। ওইদিন দুই পক্ষের আইনজীবীদের তুমুল হট্টগোলের মধ্য দিয়ে শুনানি শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।