Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : অলিপুর-লস্করপুর রেল ক্রসিংয়ে ওভার ব্রিজ চাই

প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বৃহত্তর সিলেটবাসীর প্রায় দেড় কোটি মানুষের প্রাণের দাবির প্রেক্ষিতে জগদীশপুর-মিরপুর অংশে অলিপুর-লস্করপুর রেল ক্রসিংয়ে দু’টি ফ্লাই-ওভার নির্মাণ অত্যাবশ্যক ছিল। অলিপুর অংশে প্রাণ কোম্পানির ও আরএফএল কোম্পানির হাজার হাজার শ্রমিকের পদচারণায় উক্ত এলাকায় যানজট লেগেই থাকে এবং মহাসড়কে দ্রুত গতিতে যান চলাচল করায় তার পরিণামস্বরূপ ট্রেনের সাথে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি বাড়ছে।
এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক যে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে ২০০০ সালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকা-ভৈরব অংশে দু’টি ওভার ব্রিজ হয়েছে। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের কারণে সিলেট বিভাগের জগদীশপুর-মিরপুর অংশে ওভার ব্রিজ দু’টি বাদ দিয়ে মূল ডিজাইনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রশস্ততা ১২ ফুট কোন অদৃশ্য হাতের কারসাজিতে কমে গেল? সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধভাবে মূল সড়কের প্রশস্ততা ১২ ফুট কমানো ও ওভার ব্রিজ দু’টি বাদ দেওয়া জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের বরাবরে সবিনয়ে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, কালবিলম্ব না করে অলিপুর-লস্করপুর রেল ক্রসিংয়ে ওভার ব্রিজ দুটি নির্মাণ করে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি পূরণ করুন।
এমএ মতিন চৌধুরী
অবসারপ্রাপ্ত পল্লী উন্নয়ন অফিসার
চৌধুরী ভিলা, গ্রাম-হাতু-া, হবিগঞ্জ।

সার ও কীটনাশকে ভেজাল
কৃষি প্রধান দেশ আমাদের বাংলাদেশ। ১৬ কোটি মানুষের মুখের আহার যোগান কৃষক। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যারা ফসল ফলান তারা আজ প্রতারিত হচ্ছেন। তাদের হাতিয়ার হচ্ছে সার ও কীটনাশক। কৃষকদের এই আসল হাতিয়ারকেও যদি কেড়ে নেয়া হয়, তাহলে কৃষকরা কোথায় যাবে? কৃষকদের দিকে নজর করার এখনি সময়। ভেজাল সার ও কীটনাশক ব্যবহার করলে কৃষকদের ফসলের ফলন কমে যাবে। মাথায় হাত দিতে হবে। নিরুপায় হয়ে ফসল ফলানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে ভেজালকারীদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
গ্রাম-আছানধনী মিয়া পাড়া, ডাক-চাপানী হাট
উপ.-ডিমলা, জেলা-নীলফামারী।

হারিয়ে যাচ্ছে অতিথি পাখি
শীতের আগমনে বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি বাংলাদেশের হাওর-বাঁওড় কিংবা জলাশয়ে এসে বিচরণ করতো। এদের শব্দে বদলে যেতো পরিবেশ। বর্তমানে হাওর-বাঁওড় বা জলাশয়ে মৎস্য চাষ বা মাটি ভরাট করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করার ফলে অতিথি পাখিদের আনাগোনা এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। বিশেষ করে নাঙ্গলকোট উপজেলার ময়ূরার গোমকোট দিঘী, গোত্রশাল দিঘীসহ পৌচইর বা মোড়েশ্বরের জলাশয়ে অতিথি পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে এসে বিচরণ করতো। বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়ে উক্ত উপজেলায় অতিথি পাখিরা আসতে পারে না। সরকার যদি এ ব্যাপারে পদক্ষেন নিত তা হলে অতিথি পাখিদের আসা-যাওয়ায় এ উপজেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতো।
দ্বীন মোহাম্মদ
তিলিপ দরবার শরীফ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।


সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দ্বিগুণ করা হোক
সম্প্রতি দেশের প্রায় ১১ লাখ সরকারি কর্মচারীর মাসিক বেতনভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছে। কিন্তু যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে আছেন তাদের কি উচ্চমূল্য জিনিসপত্র কিনতে হয় না? বাড়তি টাকা তারা পাবেন কোথায়? পেনশনের টাকা তো দ্বিগুণ করা হয়নি। তাছাড়া যারা সঞ্চয়পত্র ক্রয় করে মুনাফার টাকা দিয়ে সংসার পরিচালনা করেন তাদের কেনা সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানো হয়েছে। যেহেতু সরকারি কর্মচারীদের বেতনভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছে সেহেতেু অবসরভোগীদের একমাত্র অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের মুনফার হার অবশ্যই দ্বিগুণ করা উচিত। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. সামসুল আলম
ফরাজীকান্দা, নারায়ণগঞ্জ।

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নগরবাসী
কবে যে রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে কে জানে? এদিকে রাজধানীবাসীকে বায়ুদূষণসহ যানজট, বিধ্বস্ত রাস্তার জন্য অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারপর নির্মিত হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে বিধ্বস্ত শুধু রাস্তা নয়, ধুলাবালিতে একাকার। শান্তিনগর, মগবাজার-মালিবাগ, রামপুরা, ইস্কাটন, রমনাÑ এসব এলাকা দিয়ে ধুলাবালির জন্য যাতায়াত করা কষ্টকর। পরিবেশ দূষণের কারণে রাজধানীবাসী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ঢাকার ৮০ শতাংশ বাতাস এখন দূষিত। বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে বহু লোক মারা যায়। ফিটনেসবিহীন গাড়ির ধোঁয়া এবং ভাঙাচোরা রাস্তার ধুলাবালির কারণে মানুষ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে জর্জরিত। এ অবস্থা থেকে নগরবাসী পরিত্রাণ পেতে চায়। আশা করি, দ্রুত রাজধানীর উড়াল সেতুর কাজ শেষ হবে। পরিশেষে, শুকনো মৌসুমে দুই সিটি করপোরেশনকে সকাল-বিকাল নগরীতে পানি ছিটিয়ে ধুলাবালির দৌরাত্ম্য দূর করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী
১৭, ফরিদাবাদ, গে-ারিয়া, ঢাকা-১২০৪।

বর্ষার আগেই সংস্কার করা হোক
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় দ্বিমুখী বঙ্গোপসাগর ও শংখ নদী বেষ্টিত উপকূলীয় এলাকা হিসেবে পরিচিত ৩ নম্বর খানখানাবাদ ইউনিয়ন ও ২ নম্বর সাধনপুর ইউনিয়ন। খানখানাবাদ ইউনিয়নের প্রেমশিয়া নয়াহাট থেকে সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম পর্যন্ত সড়কটির সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা উভয় ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাধনপুরের কিছু অংশ পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল ও পথচারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার পূর্ব রায়ছটা গ্রামের কিছু অংশ দীর্ঘ যুগ ধরে সলিং ওঠা রাস্তায় অসংখ্য ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব রায়ছটা গ্রামের ঈশ্বরবাবুর হাট এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধ কিলোমিটার সড়কও। রাস্তাগুলো বর্ষার আগেই দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
এসএম ফরিদুল আলম
৮২৯/এ, ৭, এমএম আলী রোড
গ্রাম-প্রেমাশিয়া, ডাকঘর-রায়ছটা, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

 

 

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : অলিপুর-লস্করপুর রেল ক্রসিংয়ে ওভার ব্রিজ চাই
আরও পড়ুন