বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
হোসাইন আনোয়ার : পরস্পরে ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যম হলো ভাষা। পৃথিবীর সকল প্রাণীর নিজেস্ব ভাষা আছে। পৃথিবীতে যারা কথা বলতে পারে তাদের ভাব প্রকাশের অন্যতম বাহন হলো ভাষা। ভাষা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সৃষ্টিজীবের প্রতি এক অপার অনুগ্রহ। আর যারা কথা বলতে পারে না তথা মূক-বধির বা বাকপ্রতিবন্ধী তারা ভাব প্রকাশ করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে। দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গ অঞ্চলের স্থানীয় ভাষার নাম বাংলাভাষা। বাংলাভাষাটি মূলত ইন্দো-আর্য ভাষা। সংস্কৃত পালি ও প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে বাংলাভাষার উদ্ভব হয়েছে। এই বাংলাভাষাকে আবর্তন করেই রয়েছে এক বিশাল ইতিহাস। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম দেশটি যার ঐতিহ্য বহন করে। বাঙালির গৌরব ও বেদনার ইতিহাস জড়িয়ে আছে এ বাংলাভাষার সঙ্গে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকা এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জেও বাংলা ভাষায় কথা বলে। এসব অঞ্চলের প্রায় সর্বত্রই বাংলাভাষা প্রচলিত হওয়ায় এ ভাষা বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করে আছে। এ ভাষায় কথা বলে এমন লোকের সংখ্যা এখন ত্রিশ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা ও সরকারি ভাষা বাংলা। ভারতের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত ২৩টি সরকারি ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা অন্যতম। পাকিস্তানের করাচি শহরে দ্বিতীয় সরকারি ভাষারূপে বাংলাকে গ্রহণ করা হয়েছে। সিয়েরালিওন তাদের দেশে অবস্থিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশী সৈনিকদের সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালে তাদের দেশের সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে বাংলাভাষাকে। বাংলাভাষা আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশে এ ভাষার মর্যাদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০৫১-৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত বাংলাভাষা আন্দোলন এই ভাষার সাথে আন্তর্জাতিক যোগসূত্র স্থাপন করেছিল।
ভাষা আন্দোলন : বাংলাভাষার ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামের নামই একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্ট যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারত নামে দু’টি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান দু’টি অংশে বিভক্ত ছিল; একটি পূর্ব পাকিস্তান অপরটি পশ্চিম পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা ছিল বাংলা আর পশ্চিম পাকিস্তানের ভাষা ছিল উর্দু। ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার কার্জন হলের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, টৎফঁ ধহফ টৎফঁ ংযধষষ নব ঃযব ড়হষু ংঃধঃব ষধহমঁধমব ড়ভ চধশরংঃধহ. অর্থাৎ উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু বাংলার জাগ্রত জনতা জিন্নাহর এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। বাঙালি লাখো কণ্ঠ সোচ্চার হয়ে তখন প্রতিবাদ করেছে। এরপর ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনও এক জনসভায় উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জোরালো ঘোষণা দেন। ফলে ছাত্রদের মধ্যে শুরু হয় উত্তেজনা, তারা ধর্মঘট ডাকেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২১ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়। সরকার ছাত্রদের এ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু এ আন্দোলনের ওপর সরকার যতই দমননীতি চালাতে থাকে, আন্দোলন ততই প্রকট আকার ধারণ করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করা হয়। এ আন্দোলনকে প্রতিহত করতে পুলিশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ছাত্রদের ওপর বেপরোয়া গুলি চালায়। পুলিশ নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর বন্দুক, বেয়নেট, টিয়ারগ্যাস, লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো অনেকে শহীদ হন। এ হত্যাকা-ের কথা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে সমগ্র বাংলাদেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। ফলে বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে আতঙ্কিত সরকার বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশে একুশের সেই অমর ত্যাগ নিয়ে গীতিকার আব্দুল গাফফার চৌধুরী লেখেন, “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’ গানটিতে প্রথম সুরারোপ করেন আব্দুল লতিফ। পরে ১৯৫৪ সালে ওই একই গানে নতুন করে সুরারোপ করেন আলতাফ মাহমুদ। সেই থেকে আজও ভাষা আন্দোলন স্মরণে বাংলাদেশে প্রভাতফেরিতে এই গানটি গাওয়া হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রেরণা থেকেই পরবর্তী প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালিত হয়, পরে ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানও ঘটে। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ফলে বাঙালির মধ্যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে যা পরবর্তী সময় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষভাবে কার্যকর ছিল। মূলত একুশের চেতনাই বাঙালিকে পরবর্তী সব সংগ্রামের প্রেরণা জুগিয়েছে।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মানুষের নিকট স্বীকৃত। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ সাধনা, সংগ্রামের ইতিহাস। কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালামের প্রতিষ্ঠিত ‘ঞযব সড়ঃযবৎ ষধহমঁধমব ষড়াবৎ ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ’ সংগঠন একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠায় জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে। এ চিঠিতে সাত জাতি ও সাত ভাষার দশজন স্বাক্ষর করেন। এর এক বছর পর, ইউনেস্কো সদর দফতরের ভাষা বিভাগের আন্না মারিয়া রফিকুল ইসলামকে ১৯৯৯ সালের ৩ মার্চ সম্মতিসূচক চিঠি লেখেন, জবমধৎফরহম ুড়ঁৎ ৎবয়ঁবংঃ ঃড় ফবপষধৎব ঃযব ২১ ঋবনৎঁধৎু ধং ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গড়ঃযবৎ খধহমঁধমব ফধু. ঞযব রফবধ রং রহফববফ াবৎু রহঃবৎবংঃরহম. অবশেষে ইধহমষধফবংয ঘধঃরড়হধষ ঈড়সসরংংরড়হ-এর পক্ষে সচিব কফিল উদ্দিন আহমদ প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে প্রস্তাবটি ইউনেস্কো সদর দফতরে পেশ করেন। ইউনেস্কোর ২৮টি সদস্যরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রস্তাব লিখিতভাবে সমর্থন করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ইউনেস্কো-এর ঘোষণায় বলা হয়- ২১ ঋবনৎঁধৎু রং ঢ়ৎড়পষধরসবফ রহঃবৎহধঃরড়হধষ সড়ঃযবৎ ষধহমঁধমব ফধু ঃযৎড়ঁমযড়ঁঃ ঃযব ড়িৎষফ ঃড় পড়সসবসড়ৎধঃব ঃযব সধৎঃুৎং যিড় ংধপৎরভরপবফ ঃযবরৎ ষরাবং ড়হ ঃযরং ফধু রহ ১৯৫২.
ইসলামে মাতৃভাষা : পৃথিবীর সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত যত ভাষা সব ভাষাই মহান আল্লাহর সৃষ্টি। প্রথম মানুষ হযরত আদম আ. এর ভাষা থেকেই উদ্ভব হয়েছে। ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন মহান আল্লাহ তা‘আলা। সূরা আর রহমানের ৩ ও ৪ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন- “তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন, এবং তাকে বর্ণনার উপযোগী ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন।” শিশুকালে মায়ের মুখ থেকে শুনে শুনে আমরা যে ভাষা শিখেছি সেটাই আমাদের মাতৃভাষা। অর্থাৎ জন্ম সূত্রে আমরা যে ভাষা পেয়েছি বা শিখেছি সেটাই আমাদের মাতৃভাষা। মাতৃভাষায় বিশুদ্ধভাবে সুন্দর করে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারা সীমাহীন গৌরবের বিষয়। তাইতো বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সা. গৌরব করে বলেছিলেন “আমি আরবের শ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধভাষী”।
পৃথিবীর মোট ভাষার সংখ্যা সঠিকভাবে বলা সম্ভব না হলেও জাতিসংঘের একটি প্রকাশনায় বলা হয়েছে পৃথিবীতে প্রায় সাত হাজার বা তারও অধিক ভাষা আছে। বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা হলো ১১টি। তার মধ্যে বাংলাভাষাও একটি অন্যতম ভাষা। পৃথিবীর প্রায় ৯৬ ভাগ মানুষ এই এগারটি ভাষাতেই কথা বলে। ভাষাসমূহের মধ্যে সর্বাধিক জটিল ও কঠিন হচ্ছে চীনের ম্যান্ডারিন ভাষা এবং আফগানিস্তানের পশতু ভাষা। সবচেয়ে বেশি ভাষা ব্যবহৃত হয় ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপ-রাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি নামক দেশটিতে। যেখানে ৮৫০টিরও বেশি ভাষা রয়েছে।
ভাষার এ ভিন্নতার মাঝেও মহান আল্লাহর এক নিদর্শন রয়েছে। সূরা রূম এর ২২ নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন- “তাঁর আরও এক নিদর্শন হচ্ছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃজন এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।” মহান আল্লাহ যে সকল নবী ও রাসূলের প্রতি কিতাব নাযিল করেছিলেন তা ছিল তার মাতৃভাষাতেই। সূরা ইব্রাহীমের ৪ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন- “আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষি করে পাঠিয়েছি তাদের নিকট পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করার জন্য।” অতএব পৃথিবীতে যত ভাষা আছে সব ভাষাই মহান আল্লাহর দান এবং প্রত্যেকটি ভাষারই গুরুত্ব আছে।
বাংলা ভাষার বিকৃতি : আমাদের বাংলাদেশসহ ভারতের কিছু কিছু রাজ্যে মাতৃভাষার ব্যবহার সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। বাংলাভাষার ব্যবহারও কমে আসছে। হিন্দি-সংস্কৃতির থাবা এসব জায়গায় পড়েছে তা থেকে মুক্তির উপায় নিয়েও কেউ ভাবছে বলে মনে হয় না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এ থাবায় পঙ্গু হয়েছে বলা যায়। টিভি সিরিয়ালগুলোর বিরতির ফাঁকফোকরে বিজ্ঞাপন বিজ্ঞপ্তিতে বা বাংলা ম্যাগাজিনগুলোর বাংলার লিখিত বিজ্ঞাপনেও কোথাও কোথাও উদ্ভট বাংলা। হয়তো সেগুলো বিজ্ঞাপন কপিরাইটার মূল হিন্দি বা ইংরেজি বিজ্ঞাপনী বিবৃতির দুর্বল বাংলা অনুবাদ। এসবের ফলে বাংলা ভাষাটাই যেন কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। এখন তো প্রকৃত বাংলার সঙ্গে হিন্দি-ইংরেজি ভাষার মিশ্রণ দেখে ও শুনে আমরা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে এই জগাখিচুরির ব্যাপারে আর কোনও তাপ-উত্তাপ বোধ করি না। যারা আমাদের এই বাংলাভাষাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তারা দেশের হোক বা বিদেশের হোক তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কথা। এ ছাড়াও আমাদের মধ্যযুগের কবি আবদুল হাকিম (সতেরো শতক)-এর নিম্নোক্ত পঙ্ক্তিমালা স্মরণ করতে অনুরোধ করি-
‘যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।
দেশি ভাষা যার মনে ন জুয়ায়।
নিজ দেশ ছাড়ি কেন বিদেশ ন যায়।’
পরিশেষে বলতে চাই- একুশ আমাদের গর্ব, অহঙ্কার ও বেদনাদায়ক অধ্যায়। তাই আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সকল প্রকার বিকৃতির হাত থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই স্বার্থক হবে ভাষার জন্য আত্মত্যাগ।
য় লেখক : প্রাবন্ধিক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।