Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্রিকেটে অর্থই অনিষ্টের মূল : টিআইবি

বৈশ্বিক দুর্নীতি প্রতিবেদন প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার ক্রিকেট খেলা পাতানো এবং স্পট ফিক্সংসহ ঘুষ লেনেদেন অবৈধ কর্মকা-ের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। পাতানো খেলা। অর্থই অনিষ্টের মূল বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এতে করে খেলায় সততা অবনমন বিষয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিতব্য রিপোর্টে বাংলাদেশের চিত্র ব্যাপকভাবে না আসলেও, বাংলাদেশেও খেলাধুলার উন্নয়নের পরিবর্তে এটা আর্থিক লেন-দেন ও বাণিজ্যিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি জানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ সংগঠনটির নিজ কার্যালয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রকাশিত (টিআই) এর গ্লোবাল করাপশন রিপোর্ট : স্পোর্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপ নির্বাহী পরিচালক ড সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিজওয়ান-উল-আলম, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান প্রমুখ। খেলাধুলায় দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে টিআই। সারাবিশ্বের ৬০ জন বিশেষজ্ঞ এবং ১৫০ জন পর্যালোচকের গবেষণার ভিত্তিতে রিপোর্ট করা হয়। যার একটি সংস্করণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে টিআইবি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) সুশাসনের ঘাটতি, বিসিবি’র সভাপতির অতিরিক্ত ক্ষমতায়ন, আইনি অপরিপক্বতা, রাজনৈতিক ও দলীয়করণ এবং নানা প্রকার অনিয়মের কারণে এই ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীতি প্রতিরোধে একজন ন্যায়পাল নিয়োগের দাবি জানান। তিনি বলেন, বিসিবি’র বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী- একজন বোর্ড সভাপতি, ২৭জন বোর্ড পরিচালক এবং ২০টি পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। বর্তমান নেতৃত্বের স্বার্থে পরিচালকরা একতরফা গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছেন। সেখানে সভাপতি নিজেই সাধারণ পরিষদের পাঁচজন কাউন্সিলর নির্বাচন করেন এবং পরিচালনা কমিটিগুলোর সদস্য নির্বাচন করেন। যার কারণে সভাপতি তার পছন্দের ব্যক্তি দ্বারা বোর্ডে সহজেই অবৈধ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন। বোর্ডকে রাজনৈতিকরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১২ সালের মার্চ মাসে প্রথমবারের মত বিসিবি’র সংবিধান সংশোধন করার পর বর্তমান সভাপতি সর্বসম্মতিভাবে নির্বাচিত হয়। এই নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন সত্ত্বেও সভাপতি ও পরিচালক পদে মনোয়ন প্রক্রিয়ায় দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব ছিল। তিনি আরো বলেন, ১৮৬০ সালের দ-বিধি এবং ২০০৪ সালের দুদক আইনে অসদ আচরণ ও দুর্নীতির কথা বলা আছে। কিন্তু ক্রিকেটে দুর্নীতি তদন্তের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন বিধিবিধান ও প্রক্রিয়া উল্লেখ নেই। টিআইবি’র এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিপিএলের প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট ছিলো কিছুটা সমস্যাপূর্ণ। এটা হয়েছিল অস্থায়ী ভিত্তিতে, যেখানে টুর্নামেন্টের জন্য উপযুক্ত নীতি বা বিধান ছিল না। সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি ছাড়াই ফ্র্যাঞ্চাজিগুলো খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের হার নির্ধারণ করেছিল। খেলোয়াড়দের সাধারণভাবে নগদ অর্থ প্রদান করায় কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি এসব কর্মকা-ে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ আছে। এসময় ক্রিকেটের উন্নয়নে কতগুলো সুপারিশ তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল ও কারিগরি উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে দুর্নীতি বিরোধি ইউনিটের স্বাধীনতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করণ, ফিক্সিং, প্রতারণার অন্যান্য কৌশল নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ আইন সংস্কার করা ও তার কার্যকরী বাস্তবায়ন করা, বিসিবি’র পরিচালনা উন্নতর করতে একে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তদারকির আওতায় নিয়ে আসা এবং বিসিবি’র সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের স্বপ্রণোদিতভাবে আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশ করা ও তথ্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেটে অর্থই অনিষ্টের মূল : টিআইবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ