পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল এবং শিক্ষকদের মর্যাদার লড়াইয়ে সরকারকে তৃতীয় দফায় আলটিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন ফেডারেশনের মহাসচিব প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। আগামী ৬ মার্চের মধ্যে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মাকসুদ কামাল বলেন, আমরা বেতন বৈষম্য নিরসন কমিটির সঙ্গে চার দফা বৈঠক করে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছি। আগামী ৬ মার্চ অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেতন বৈষম্য নিরসন কমিটির বৈঠক রয়েছে। আমরা আশা করছি, উক্ত বৈঠকে শিক্ষকদের দাবির সমাধান হবে। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের অবসান হবে।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ দশ মাস ধরে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের দাবি আদায়ে দীর্ঘসূত্রতা লক্ষ্য করছি যা কাম্য হতে পারে না। আমরা বারবার সময় দিয়েছি যাতে ছাত্রদের কোনো ক্ষতি না হয়। আগামী ৬ মার্চের বৈঠকে যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে আগামী ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণসভা থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সর্বমহল অবহিত হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব। মর্যাদার লড়াইয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অস্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে গত ১১ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ১৮ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেডারেশনের নেতারা দাবি-দাওয়া তুলে ধরে পরের দিন সাধারণ সভা করে আন্দোলন স্থগিত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।