পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে ঃ বগুড়ার গ্রামাঞ্চলে গরম মশলা হিসেবে জিরা চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। যেমন শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের এক কৃষক কৌতূহলের বশে নিজের জমিতে জিরা চাষ করে সফলতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন বলে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে। জমিতে লাগানো জিরা গাছগুলো ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে, ফল ধরা বাকি রয়েছে। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারাও মনে করছে জিরার ফলন ভালোই হবে।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামের কৃষক আবিদ হাসান সুমন তার জমিতে নতুন কিছু চাষের স্বপ্ন নিয়ে তার বড় ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করেন। সুমনের বড় ভাই প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ঢাকায় চাকুরীর সুবাদে তার পরিচিতজনের মাধ্যমে ইরান থেকে জিরা (মশলা) বীজ সংগ্রহ করেন। ১২ হাজার টাকা কেজি দরে এই বীজ সংগ্রহ করে তিনি গত নভেম্বর মাসে ছোটভাই সুমনের কাছে পাঠিয়ে দেন। নভেম্বরেই সুমন তার জমিতে ওই বীজগুলো বপন করেন। যখন জমিতে চারাগুলো গজাতে শুরু করে, তখন তিনি উপজেলা কৃষিঅফিসে পরামর্শের জন্য আসলে কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান নিজে পরিদর্শনে গিয়ে নানা পরামর্শ দেন। জিরা মশলা চাষে সফলতার জন্য ওই ওয়ার্ডের বিএস (বøক সুপারভাইজার) খোরশেদ আলমকে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিতে বলেন। এভাবে প্রতিদিন বিএস খোরশেদ আলম একবার হলেও ওই জিরা মশলার জমি দেখতে যান। এছাড়াও উপজেলা কৃষি অফিসার নিজেই বেশ কয়েকবার দেখতে গিয়েছেন। জিরা মশলা গাছের বর্তমান যে অবস্থা তাতে ভাল ফলন হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জিরা মশলা চাষে খরচ কম ও অধিক মূল্য পাওয়া যায় বলে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন অনেক কৃষক। প্রাথমিক ভাবে সফল জিরা চাষী আবিদ হাসান সুমন বলেন, ধান চাষসহ গতানুগতিক চাষ করে তেমন একটা লাভবান হওয়া যায় না। সেই কারণে আমি নতুন কিছু চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ি, সেই সময় বড় ভাইয়ের পরিচিতজনের মাধ্যমে জিরা মশলা চাষে আগ্রহী হয়ে জিরা মশলা চাষ শুরু করেছি।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জে মশলা গবেষণা ইনস্টিটিউটে জিরা মশলা চাষে চেষ্টা করে সফল হতে পারিনি। বিষয়টি মাথায় রেখে শেরপুর উপজেলার কৃষক সুমনের চেষ্টা যেন বিফলে না যায়, সেদিকে খেয়াল রেখে আমরা সার্বক্ষণিক পরামর্শের পাশাপাশি সকল প্রকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।