পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইখতিয়ার উদ্দিন সাগর : বইমেলায় এখন কেবল ছুটির দিনই নয়, প্রতিদিনই থাকছে বইপ্রেমীদের ভিড়। মেলাঙ্গনের ভেতরে-বাইরে, প্রবেশ পথ, নজরুল মঞ্চ কিংবা মূল মঞ্চ অথবা স্টলের সামনে সর্বত্রই মানুষের ভিড়। কেউ এসেছেন বই কিনতে, কেউ বা ঘুরতে। কেউ এসেছেন বইয়ের পাতা উল্টে দেখে পছন্দ করে রাখতে। আবার কেউ এসেছেন অবসর সময়টুকু মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে-ফিরে বই দেখে কাটাতে।
বাংলা একাডেমির বইমেলা এখন আর কেবল মেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষের অংশগ্রহণে এটি যেমন পরিণত হয়েছে মিলন মেলা তেমনি বিনোদন কেন্দ্র। কিছুটা অবসর সময় পেলেই প্রিয় মানুষ কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ছুটে আসছেন মেলায়। অনেকেই দিনের বিকেল এবং সন্ধ্যাটা বাংলা একাডেমির বইমেলাকে কেন্দ্র করে আড্ডার ছলে কাটাতে দেখা যাচ্ছে। মেলায় যেমন রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই এসে বই দেখছেন, ফিরছেন প্রিয় লেখকের প্রিয় বই নিয়ে। তেমনি এটি সাড়া ফেলেছে রাজধানীর বাইরেও। ঝিনাইদহ থেকে বই মেলায় এসেছে রেজা ও তার স্ত্রী। তারা জানালেন, বইমেলার মত এত বড় আয়োজন কোন বছরই তারা মিস করেন না। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তারা জানালেন তাদের একটি সম্মিলিত পাঠাগার আছে।প্রতিবছর আমরা মেলায় এসে পাঠাগারের জন্য কিছু বই কিনে নিয়ে যায়।
বগুড়া থেকে আসা মাসুম হোসেন বললেন, ঢাকায় এসেছেন খালাত ভাইয়ের কাছে। এসে যখন শুনলাম বইমেলা চলছে, তাই চলে এলাম। এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। মাসুদ বলেন, এলাকাতে তো এ ধরনের বইমেলা হয় না, তাই এসব মেলায় ঘুরার তেমন সুযোগও হয় না। তিনি জানান, মেলায় এসে হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল, আল মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন প্রিয় লেখকের বই কিনেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে যেমন ক্যাম্পাসে বের না হলে ভাল লাগে না, অনুরূপভাবে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বইমেলায় না আসলেও ভাল লাগে না। তাই আমরা প্রায় ১০জন বন্ধু-বান্ধব প্রতিদিন মেলাই আসি।
মূলমঞ্চের অনুষ্ঠান: বিকাল ৪ টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মোহাম্মদ নাসির আলী জন্মশত বার্ষিকী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি আসাদ চৌধুরী, শিশুসাহিত্যিক লুৎফর রহমান রিটন এবং শিশুসাহিত্যিক কাইজার চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন লেখক-গবেষক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, মোহাম্মদ নাসির আলী ও তাঁর প্রজন্মের লেখকবৃন্দ নিজেদের মেধা ও শ্রমে বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যকে যেভাবে স্বাবলম্বী ও বর্ণিল করেছেন সে জন্য তাঁদের ঋণ আমরা সব সময় মনে রাখবো। একই সঙ্গে জন্মশতবর্ষে মোহাম্মদ নাসির আলীর রচনার নিবিড় পাঠ ও বিশ্লেষণও প্রয়োজন।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, সায়েরা হাবীব, ইমরুল ইউসুফ, আবিদ করিম, খোদেজা বেগম, আব্দুস সালাম। সংগীত পরিবেশন করেন মুর্শিদুদ্দিন আহম্মদ, অদিতি ফাল্গুনী, মোস্তাক আহমেদ, মো. নাসিরুল ইসলাম।
আজকের অনুষ্ঠান: বিকাল ৪ টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ও মান উন্নয়নে সমস্যা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন লেখক গবেষক আবুল মোমেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন কাজী ফারুক আহমেদ, মনজুর আহমদ এবং শাহিনুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ফারজানা ইসলাম। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।