Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘরের আগুনে পুড়ছে আ’লীগ

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তারেক সালমান : ঘরের আগুনে পুড়ছে শাসক দল আওয়ামী লীগ। পদ আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সৃষ্ট দলীয় অন্তর্কোন্দলে রক্তপাত যেন থামছেই না। আধিপত্য বিস্তারের লড়াই, অন্তর্দলীয় কোন্দল আর ক্ষমতার লড়াইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শত্রু এখন আওয়ামী লীগই। সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম বিভিন্ন সংগঠনের ওপরও যেন নিয়ন্ত্রণও হারিয়ে ফেলেছে তৃণমূলে সংগঠিত এ দলটি। দলের শুভাকাক্সক্ষীরা একে দলের ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়ার উপক্রম হিসেবে দেখছেন। সারা দেশে দলের তৃণমূলে হঠাৎ করেই ক্ষমতা ও আধিপত্যের দ্বন্দ্বে টালমাটাল অবস্থা ক্ষমতাসীন দলটিতে। প্রায় প্রতিদিনই গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের এসব অসন্তোষের সংবাদ আসছে। অবশ্য সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন। এসব সমস্যাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখলেও এতে দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে বলেও অনেকে মনে করছেন।
দলীয় সূত্র মতে, ক্ষমতার সুবিধা নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষায় দলকে ব্যবহার  করে প্রতিনিয়তই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কিছুতেই থামছে না ক্ষমতাসীন দলটির মাঠপর্যায়ে মারামারি, খুনোখুনি, সংঘাত, সহিংসতা ও সংঘর্ষ। ক্ষমতাসীন দলের কোন্দলের ফলে শুধু দলীয় লোকই নয়, সাধারণ মানুষ এমনকি সাংবাদিকদেরও প্রাণ দিতে হচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও বেসরকারি সংস্থার হিসাবসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ শুধু নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হানাহানিতে গত ৮ বছরে তিন শতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে একের পর এক নেতিবাচক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ দলগুলোর নেতাকর্মীরা। দলীয় পদ-পদবির আশায় কখনোবা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে নিজ দলের দুর্বৃত্তদের হাতেই নেতাকর্মীদের প্রাণ দিতে হচ্ছে। আবার কখনও ঠিকাদারি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েও ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে দলটির  নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ বিষয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে ছোট-খাটো কোন্দল থাকা ‘অস্বাভাবিক নয়’। তবে সীমা লঙ্ঘনকারীদের অপরাধের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না বলেও তিনি দলের নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেন।  
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগে নেতার গুলিতে সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শাহজাদপুরে সাংবাদিক শিমুল হত্যার ঘটনায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এ ঘটনায় জড়িতরা যতই প্রভাবশালী হোক, যে দলেরই  হোক না কেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ইনকিলাবকে বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করছে সুবিধাবাদীরা। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে সংঘর্ষে জড়িয়ে যাচ্ছে তারা। দলীয়ভাবে অবশ্যই এদের প্রতি নিবিড়ভাবে দৃষ্টি রাখতে হবে কেন দলের সদস্যরা এসব অনৈতিক কার্মকান্ডে জড়াচ্ছে। তিনি বলেন, এদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থার আত্ততায় আনতে হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলীয় নেতাকর্মীদের বিতর্কিত কর্মকা- সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না এটা উপলব্ধি করে নেতাদের ডেকে ডেকে সতর্ক করছে আওয়ামী লীগ। এছাড়াও দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় গিয়ে নেতাদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের  নেতিবাচক কর্মকা-ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে কোনো প্রকার বিরূপ মনোভাব না পড়ে সেজন্য তৃণমূল নেতাদের কড়াভাবে শাসানো হচ্ছে।
সম্প্রতি চাঁদপুরের হাইমচরে ওছমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ছাত্রদের বানানো মানবসেতুতে হেঁটে সমালোচনার মুখে পড়েন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন পাটোয়ারী। ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে হাত রেখে তার ওপর আরেক শিক্ষার্থীকে শুইয়ে বানানো পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জুতা পায়ে হাঁটেন নূর হোসেন। বিষয়টি ছবিসহ গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সমালোচনার মুখে পড়েন নূর হোসেন পাটোয়ারীসহ দল আওয়ামী লীগও। দলীয় নেতাদের নানা ধরনের প্রশ্নের জবাব দিতে হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার বলেও নিন্দুকেরা টিপ্পনী কেটেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সমালোচনায় অতিষ্ঠ হয়ে নূর হোসেন পাটোয়ারীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হয়েছে আওয়ামী লীগ।
গত শুক্রবার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্যায় করে কেউ পার পাবে না, সে আওয়ামী লীগের যত বড় নেতাই হোক। এ ধরনের জঘন্য কাজ যারা করে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এরা নিজেরা যেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে একইভাবে দলকেও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছে। আগেও আমরা এ ধরনের ঘটনায় ছাড় দেইনি, এখনও দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি রহিমের সমর্থকরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাড়ি ঘেরাও করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল গুলিবিদ্ধ হয়ে পরদিন মারা যান। ভিপি রহিম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, মেয়র মিরুর ছোট ভাই পিন্টু আমার শ্যালক বিজয় মাহমুদের ওপর হামলা করে কালিবাড়ি এলাকায়। তারা তার হাত-পা ভেঙে দেয়। বিজয় মাহমুদ শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি। পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু বলেন, পিন্টু ও বিজয়ের মধ্যে মারামারির কিছুক্ষণ পর ভিপি রহিমের লোকজন লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমিও বাড়ির ভেতর থেকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করি। এ ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ঘটনা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে ত্বরিত দলীয় এবং প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ কখনও নির্লিপ্ত থাকেনি। আওয়ামী লীগ এসব বিশৃঙ্খলকারীদের বিরুদ্ধে সব সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এবারও ব্যত্যয় ঘটবে না। এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে ঘটনা তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিতর্কিত কোনো কর্মকা- হতে দিতে চায় না আওয়ামী লীগ। যেসব কর্মকান্ডের কারণে সাধারণ মানুষ দলের ওপর নাখোশ হয় এমন কর্মকা- যাতে না হয় সেজন্য তৃণমূল নেতাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে তৃণমূলের কোন্দল ততই বাড়ছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে করে আওয়ামী লীগের ওপর সাধারণ মানুষ বিরূপ মনোভাব পোষণ করছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি এলাকার নেতাদের কেন্দ্রে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা বিতর্কিত কোনো কর্মকা- করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও হুশিয়ার করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।  
গত শুক্রবার কুষ্টিয়া সদরের জিয়ারখারী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইদ্রিস আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আফজাল হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে গতকালের সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। একই জেলার মিরপুরে জাসদ কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এ প্রসঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক কোন্দলের ব্যাপারে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদ গাজী চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হন। শ্যামনগর থানার এস আই সুধাংশ শেখর জানান, সাইদ গাজীর নামে একটি চুরির মামলা ছিল। আদালতের সে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোট-খাটো এসব বিষয় নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। তারা বলেছেন, ঘটনা যেমনি হোক আওয়ামী লীগ নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা থাকলে আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। যে কারণে আমরা নিয়মিত তৃণমূল সফর করছি। স্থানীয় নেতাদের বোঝানোর চেষ্ট করছি।
তৃণমূল কোন্দল সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, শংকিত হওয়ার মতো সারা দেশের আওয়ামী লীগে কোনো ঘটনা ঘটছে না। আপনারা যেসব ঘটনার কথা বলছেন বা লিখছেন তা নেহায়েতই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এতে শংকিত হওয়ার কিছু নেই। আর যেসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে আমরা দলীয়ভাবে তাতে কোনো ছাড় দিচ্ছি না। তদন্ত হচ্ছে এবং দোষীদের শাস্তিও হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ঘটনাও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা দুঃখজনকও বটে। আমরা দলীয়ভাবে ঘটনায় দুঃখিত। তদন্ত হচ্ছে। এ ঘটনায় যদি কেউ দায়ী থাকে সেও ছাড় পাবে না। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, অনেক ভালো কাজ ও পদক্ষেপে সরকার যখন সবকিছুই গুছিয়ে উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই সরকারি দলের কিছু নেতার শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় সরকারের সব অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে। এসব দ্বন্দ্ব-কোন্দল আওয়ামী লীগের নৌকা ডোবানোর আত্মঘাতী খেলায় পরিণত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আমরা নিয়মিত দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগে যাচ্ছি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করছি। যেসব ঘটনা ঘটছে এগুলো সচরাচর হয়েই থাকে। তবে আমরা চেষ্টা করছি নেতাদের বোঝাতে। তারা যেন কোনো নেতিবাচক খবরের শিরোনাম না হয়।



 

Show all comments
  • Sohel ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:৫১ এএম says : 0
    দ্বন্দ্ব-কোন্দল আওয়ামী লীগের নৌকা ডোবানোর আত্মঘাতী খেলায় পরিণত হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ’লীগ

১৪ আগস্ট, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ