পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে গতকাল দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ধানমন্ডির জিগাতলা এলাকায়। এ সময় গুলির শব্দও শোনা গেছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৪জন গুরুতর আহত বলে জানা গেছে। নিরাপদ সড়ক দাবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুজব ছড়ানোর পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে রাতে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা গুজব শুনে বিভ্রান্ত হয়েছেন। যা শুনেছেন, তেমন কিছু ঘটেনি। শনিবার জিগাতলা-ধানমন্ডি এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরতদের সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় কার্যালয়টি ঘুরে শিক্ষার্থীরা এ কথা বলেন।
পুলিশের একজন কর্মকর্তঅ জানান, দুপুরে গুজবকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে এগোতে চাইলে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে বিকেল পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে ১৭ জন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হন বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে তাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা গুরুতর। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে সন্ধ্যার আগে পুলিশ তাদের ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যায়। সেখানে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা শিক্ষার্থীদের কার্যালয় ঘুরিয়ে দেখান। তারপর আওয়ামী লীগের কার্যালয়েই সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমান তূর্য সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে নামাজের পর হঠাৎ কিছু লোক এসে বলে, আমাদের চারজন বোনকে আর ক’জন ছেলেকে আওয়ামী লীগ অফিসে আটকে রাখা হয়েছে। তখন আমাদের একটি অংশ আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে চলে আসে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ অফিসে এসে দেখলাম, এমন কিছু ঘটেনি। আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তূর্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, মেরে ফেলা বা আটকে রাখার যে তথ্য আমরা পেয়েছিলাম, তা গুজব। আপনারা কেউ গুজবে কান দেবেন না।
সংঘর্ষের ঘটনার পর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা। বিএনপি-জামায়াতের লোকজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দিচ্ছে। এটা বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র। হামলায় আওয়ামী লীগ অফিসের ১৭ জন আহত হয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারী একজনকে আওয়ামী লীগের এক কর্মী ধরে নিয়েছে বলে গুজব ছড়ানোর পর শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে যায়। ছাত্ররা হঠাৎ করে জিগাতলা মোড় থেকে আসতে থাকে। তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেয়। ছাত্ররা বাধা না মানলে বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় বিভিন্ন ফেইসবুক আইডি থেকে চার শিক্ষার্থী নিহত ও ধর্ষণের গুজব ছড়ানো হয়। বিকাল ৫টার দিকে আম্বালা হোটেলের সামনে থেকে হেলমেট পরা যুবকরা শিক্ষার্থীদের দিকে ইট ছুড়তে থাকে। ওই যুবকদের মধ্যে একজনকে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়তেও দেখা যায়। এসময় শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ঢিল ছুড়ছিল, তাদের কারও কারও হাতে লাঠিও ছিল। শিক্ষার্থীদের যে পাশে হেলমেট পরা যুবকরা ছিল, তার বিপরীত পাশে সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে বিকালে লাঠি হাতে ৪০/৫০ জন যুবককে অবস্থান নিতে দেখা যায়। স্টার রেস্তোরাঁর কাছে সড়কে দুটি মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেয়া হয় এ সময়। সেখানে পুলিশ থাকলেও তাদের কোনো তৎপরতা ছিল না। এ অবস্থা চলার পর শিক্ষার্থীরা শেষ বিকালে আবার জিগাতলার দিকে এগিয়ে যায়। ওই সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে কয়েকজন বেরিয়ে এসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ওই কার্যালয়ে যায়, তাদের সঙ্গে পুলিশও ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।