Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আকারে ক্ষুদ্র! বাঁকা ইঙ্গিতে ফের বিদ্ধ ‘অক্ষম’ হিটলার

প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইঙ্গিত এবার আকার নিয়ে। ফের উঁকি হিটলারের ‘অন্দরমহলে’! অ্যাডলফ হিটলারের যৌনাঙ্গ অস্বাভাবিক রকমের ছোট ছিল বলেই দাবি করলেন দুই জার্মান ইতিহাসবিদ। সমস্যা ছিল তার মূত্রথলিতেও। প্রায় একশো বছরের পুরনো একাধিক মেডিক্যাল রিপোর্ট ঘেঁটেই এই তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন জোনাথন মায়ো ও এমা ক্রেগি।
হিটলারের যৌনাঙ্গ যে স্বাভাবিক নয়, বরং অপরিপূর্ণ এই রটনা দীর্ঘদিনের। গত ডিসেম্বরেই এ নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন জার্মান ইতিহাসবিদ পিটার ফ্লিক্সম্যান। দুনিয়া কাঁপানো নাৎসি-নেতার একটিই অ-কোষ ছিল বলে দাবি করেন তিনি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বোমা পড়ল ইতিহাসের পাতায়। সদ্য প্রকাশিত ‘হিটলার্স লাস্ট ডে : মিনিট বাই মিনিট’ বইয়ে জোনাথন-এমা লিখেছেন, “অস্বস্তিকর এই অঙ্গবিকৃতি তথা ক্ষুদ্রতার কারণেই হিটলার এতখানি ভয়ঙ্কর মেজাজের ছিলেন।’’ এই বুঝি কেউ তাকে নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলল এমন একটা ভয়ও হিটলারকে হামেশাই তাড়া করে বেড়াত বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
নেতার কেন এই দুর্ভোগ? ইতিহাসবিদদের দাবি, হাইপোস্পেডিয়াস রোগে আক্রান্ত ছিলেন হিটলার। যা কিনা জন্মের সময় দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে বংশগতও হতে পারে। এর উপসর্গ শুধু যৌনাঙ্গ ছোট হওয়া নয়, এটি আদতে এমন একটি অবস্থা, যেখানে মূত্রনালির মুখ বা ছিদ্র অনেক ক্ষেত্রেই লিঙ্গের নীচের দিকে অবস্থান করতে পারে। যেমনটা ছিল হিটলারের।
ইতিহাসবিদদের দাবি, এই অঙ্গবিকৃতির কথা ‘একনায়ক’ নিজেও জানতেন। জানতেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক থিওডর মরেলও। হিটলারের ডান দিকের অ-কোষটি যে ‘অদৃশ্য বা ক্ষতিগ্রস্ত’ ছিল, ১৯২৩-এর একটি মেডিক্যাল রিপোর্টে সেই তথ্য দিয়েছিলেন চিকিৎসক জোসেফ স্টেইনার ব্রিন। হিটলার তখন মিউনিখের ল্যান্ডসবার্গ জেলে। স্টেইনারই তার ডাক্তারি পরীক্ষা করেন। বস্তুত সেই সময়কার নথির উপর ভিত্তি করেই হিটলার হাইপোসপেডিয়াস রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন জোনাথন-এমা।
এর ভিত্তিতে হিটলার কেন সন্তানহীন, সেই প্রশ্নের আরও একটি জুতসই জবাব পাওয়া গেল বলেও মানছেন ইতিহাসবিদদের একাংশ। বান্ধবী ইভা ব্রাউনের সঙ্গে যৌন মিলনের সময় তিনি ‘যৌনশক্তিবর্ধক’ ওষুধ, কোকেন ইত্যাদি নিতেন বলেও ‘রটনা’ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এবার তাকেও ‘ঘটনা’ বলতে চাইছেন অনেকে। জোনাথন-এমার দাবি, হিটলার এসব স্বেচ্ছায় নয়, চিকিৎসকের পরামর্শেই নিতেন। জানতেন যে জীবনে তিনি কোনও দিন বাবা হতে পারবেন না। তবু শেষ দিন অবধি নিজের ‘অক্ষমতা’ ঢাকতে নিজের উপরই সব চেয়ে বেশি ছড়ি ঘুরিয়েছেন প্রবল পরাক্রমী হিটলার। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আকারে ক্ষুদ্র! বাঁকা ইঙ্গিতে ফের বিদ্ধ ‘অক্ষম’ হিটলার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ