পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আদালতের ভুলের কারণে ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছিল মিসরের চার বছরের শিশু আহমেদ মনসুর কুরানি আলীর জীবন। তবে নানা সমালোচনার মুখে কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে, আসলে শিশুটি দোষী নয়, বরং রায়টি ভুল ছিল।
দুই বছর আগে মিসরে ঘটে যাওয়া একটি দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে হত্যা মামলায় চার বছর বয়সী আহমেদ মনসুরকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের সাজা দেন দেশটির সামরিক আদালত। অর্থাৎ আদালতের হিসাব অনুযায়ী দাঙ্গার সময় শিশুটির বয়স ছিল মাত্র দুই বছর।
তবে শিশুটির আইনজীবী মোহাম্মদ আবু হুরাইয়া আদালতে যে নথি দাখিল করেছেন, সেখানে রয়েছে শিশুটির জন্মসনদ। সেখানে দেখা যায়, দাঙ্গার সময় মনসুরের বয়স ছিল এক বছরের কিছু বেশি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর সামরিক আদালতের বিচারব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এর পর কর্তৃপক্ষ জানায়, আসলে ভুল করে চার বছরের ওই শিশুকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছিল। আসলে একই নামের ১৬ বছর বয়সী আরেকজনকে দ- দেওয়ার কথা ছিল।
এ বিষয়ে মিসরের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মোহাম্মদ সামির জানিয়েছেন, আদালতের কার্যক্রমে কিছু ত্রুটি থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। প্রায় একই নামের আরেকজনের জন্য এ সাজা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ভুল করে চার বছরের আহমেদকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আসল সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম আহমেদ মনসুর কুরানি শারারা।
২০১৪ সালে মিসরের ফায়াওম প্রদেশে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের চালানো এক দাঙ্গার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আহমেদ মনসুর কুরানি আলীসহ মোট ১১৫ জনকে সাজা দেন সামরিক আদালত। আদালতের ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করা হলেও চার বছরের ওই শিশুটিকে নিয়ে এখন কী করা হবে, সে সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এবারই প্রথম নয়, ২০১৩ সালে মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর থেকেই মিসরের সেনা নিয়ন্ত্রিত বিচারব্যবস্থা বারবারই নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।