পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রচ- ঠা-ার মধ্যে এক দল শিশু খালি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এটা খুবই সাধারণ একটি দৃশ্য। তা হয়তো গা-সওয়া হয়ে গেছে সকলের। জুতা কেনার পয়সা নেই, তাই কিনতে পারেনি। সোজা হিসেবকে সামনে রেখেই সকলে এড়িয়ে যান। কিন্তু এক জন এড়িয়ে যেতে পারেননি। দোকানে নিয়ে গিয়ে শিশুদের জুতা কিনে দিয়েই ক্ষ্যান্ত হলেন না, তার সঙ্গে তাদের নিজের হাতে পরিয়েও দিলেন। তিনি একজন জেলা প্রশাসক।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জালৌরে। এখানকার জেলা প্রশাসক জিতেন্দ্র কুমার সোনি’র এই মানবিক দিক এক অন্য দেশের চিত্র তুলে ধরে। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের প্রচ- ঠা-ায় আমি বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন শুরু করি। এক দিন এ রকমই একটা স্কুল পরিদর্শনে যাচ্ছিলাম। পথে দেখতে পাই বেশ কয়েকটি শিশু খালি পায়ে কাঁপতে কাঁপতে স্কুলে যাচ্ছে। তখনই ঠিক করি এদের পায়ে জুতা পরানোটা খুবই প্রয়োজন।’
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জিতেন্দ্র-র বাবা একজন সাধারণ ঘড়ির দোকানি ছিলেন। দুই ছেলেকে পড়াশোনা করাতে তিনি খুবই পরিশ্রম করেছেন। জিতেন্দ্রর কথায়, ‘আসলে খুব কষ্ট করে বড় হয়েছি, তাই এই শিশুদের অবস্থা দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যারা পড়াশোনার বই পর্যন্ত কিনে দিতে পারে না শিশুদের। জুতা তো তাদের কাছে বিলাসিতা। ঠিক করে নিই এমন একটা কর্মসূচি শুরু করব, যাতে ঠা-ায় শিশুদের আর কষ্ট পেতে না হয়।’
যেমন ভাবা তেমন কাজ। দপ্তরে ফিরে ২৭৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত ৩টি মিউনিসিপ্যালিটির মধ্যে যত স্কুল রয়েছে তার সমস্ত শিশুর ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তাতে দেখা যায়, প্রায় আড়াই হাজার স্কুলে ২০ হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে যারা খালি পায়েই স্কুলে যাতায়াত করে। এ সব শিশুদের পায়ে জুতা পরানোর জন্য ‘চরণ পাদুকা’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করেন। এ কর্মসূচিতে প্রচুর মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সকলের সাহায্যেই এই শিশুদের মুখে হাসি ফুটছে। জিতেন্দ্র আরও বলেন, ‘আসলে সাধারণ মানুষই এ কাজ করছেন। আমি শুধু সাহায্যটুকু পৌঁছে দিচ্ছি শিশুদের কাছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।