পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রাজশাহী ব্যুরো : রাতারাতি পাল্টে গেছে মনিবাজার চত্বর। ফাঁকা স্থানটি হঠাৎ করে পুস্পউদ্যানে পরিণত হয়েছে। কত রকমের ফুল আর গাছ তার ইয়ত্তা নেই। যেদিকে চোখ যাবে সেদিকেই ফুলের দৃষ্টিনন্দন স্টল। গতকাল থেকে মনিবাজার চত্বরে বৈকালী সংঘের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ওয়ান ব্যাংক পুস্পমেলা শুরু হয়েছে। সকালে এর উদ্বোধন করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও ওয়ান ব্যাংকের এমডি এম ফখরুল আলম। এ ওয়াই এম মনিরুজ্জামান ছানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রইস উদ্দিন বাবু। ধন্যবাদ দেন, ওয়ান ব্যাংকের রাজশাহীর ব্যবস্থাপক, বিশিষ্ট সংগঠক আব্দুল মান্নান। কুয়াশার চাদরে মোড়া আর উত্তর থেকে হিমালয় ছুঁয়ে আসা শীতল বাতাস উপেক্ষা করে শত শত নারী পুরুষ এসেছিলেন পুস্পমেলায়। মেলার পাশাপাশি আয়োজন ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন, ছড়াগান, নৃত্য প্রতিযোগিতার। তাই ভিড় জমেছিল ফুলের মত ছোট ছোট সোনামনিদেরও। পিতা মাতার হাত ধরে রঙ-তুলির বক্স হাতে নিয়ে হাজির। মেলার উদ্বোধনের পরই বসে পড়ে ছবি আঁকতে। তাদের কলকালীতে মুখরিত হয় অনুষ্ঠানস্থল। কচি কচি হাতের ছোঁয়ায় কাগজে ফুটে ওঠে ফুল আর উদ্যানের প্রতিচ্ছবি। যা পুস্পমেলায় যোগ করে ভিন্নমাত্রা। মেলা প্রাঙ্গণে এসেছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রবীণ ব্যক্তি এলাহী বক্স মÐল। আলাপকালে বলেন বৈকালী সংঘ ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে এমন আয়োজন করে আসছে। এ মেলার কথা শুনলে ঘরে থাকতে পারিনা। এসেছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক দ্বীপকেন্দ্র নাথ দাস। তিনিও মেলার উচ্ছ¡সিত প্রসংশা করলেন। শাহকৃষি পাঠাগারের প্রাণপুরুষ কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গীর শাহকে মেলার এ স্টল, ও স্টল ঘুরতে দেখা যায়। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে ছুটে এসেছেন প্রাণের টানে এমন কথা জানালেন। ওয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান বলেন এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়–ক সবখানে। তারা দ্বিতীয় বারের মতো এ মেলার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। আগামীতেও থাকবেন তা আবারো জানিয়ে দিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফখরুল আলম। দুপুরে কুয়াশার চাদর ফুঁড়ে সূর্য হেসে ওঠার সাথে মেলা প্রাঙ্গণ আরো জমজমাট হতে থাকে। জুম্মার নামাজের বিরতি দিয়ে রাত পর্যন্ত চলে মেলায় পুস্প প্রেমিদের আনাগোনা। টিভির ক্যামেরা, প্রিন্ট মিডিয়ার ক্যামেরার পাশপাশি ছিল ফুলের মাঝে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার ব্যস্ততা। নতুন পুরাতন সঙ্গীতের বাজানো রেকর্ড পুরো মেলা প্রাঙ্গণে এনেছিল অন্যরকম আবহ। ওয়ান ব্যাংকের কর্মীদের তৎপরতা ছিল নজরকাড়া। বাকি দু’টি দিনে মেলাতে আরো জমজমাট হয়ে উঠবে তা শুরুর দিনটাই বলে দেয়। নার্সারির কর্মীরা প্রত্যাশা করেন তাদের প্রদর্শনীর পাশাপাশি বেচাকেনা ভালোই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।