Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন শিগগিরই

প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা: নতুন করে ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে। শিগগিরি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক ৫ হাজার সিএনজি থ্রি হুইলার অটোরিকশা বিলি-বন্টনের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে রাজধানীর পরিবহন যান সংকট নিরসনের জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ঢাকা শহরের সিএনজি অটোরিকশার বৈধ চালকদের জন্য ৫ হাজার অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের এই উদ্যোগকে নস্যাৎ করার জন্য ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী মালিক সমিতি এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রীট আবেদন করে। হাইকোর্ট সে রীট খারিজ করে দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর একই পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল করলে সেখানেও হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ যোগাযোগমন্ত্রীর সভাপতিত্বে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকা মেট্রো এলাকার চালকদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশন বিলি-বণ্টন কার্যক্রমের উপর আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলে এবং লিভ টু আপিল প্রত্যাহার সাপেক্ষে বিআরটিএর সকল বিধি অনুসরণ করে দেড় মাসের মধ্যে বরাদ্দ প্রদানের কাজ সম্পন্ন করবেন। এর তিন মাসের মাথায় একই বছরের ২ জুন লিভ টু আপিলের সার্টিফাইড কপি বিআরটিএ চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়া হয়। এর পরে দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত না হওয়ায় সিএনজি অটোরিকশা সেক্টরে এক ধরনের অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ঢাকা মহানগরীতে অটোরিকশার সংকটের সুযোগ নিয়ে এরই মধ্যে একটি চক্র প্রাইভেট সিএনজি অটোরিকশা নামিয়ে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরী করেছে। এতে করে প্রকৃত মালিকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি যাত্রীরাও হচ্ছে প্রতারিত। জানতে চাইলে ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, আমরা লিভ টু আপিল প্রত্যাহার করলেই ৫ হাজার অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন বরাদ্দ দেয়া হবে বলে মন্ত্রী আমাদেরকে জানিয়েছিলেন। লিভ টু আপিল প্রত্যাহারের পর এরই মধ্যে দুই বছর পেরিয়ে গেল। কিন্তু মন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা চাই ঢাকা শহরের চাহিদা পূরণের জন্য হলেও যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকোরের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হোক। তা না হলে প্রাইভেট ও ঢাকার বাইরের প্রায় ১০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা যেভাবে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করে চলেছে তাতে এই সেক্টরের বৈধ মালিকরা আর টিকতেই পারবে না। আমরা এর অবসান চাই। তিনি বলেন, আমি মনে করি এই মুহূর্তে গণমানুষের প্রয়োজনে সরকারের উচিত প্রতিশ্রুত ৫ হাজার অটোরিকশা বরাদ্দ দেয়া। এতে আমাদের চালকরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি ঢাকা শহরের পরিবহ যান সংকটে অটোরিকশাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাতে যাত্রী হয়রানি এখনকার চেয়ে অনেকটাই কমে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নতুন ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন শিগগিরই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ