Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিষ্ক্রিয় সিগনাল বাতির শহর খুলনা

প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক ও আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : সিগনাল বাতি ছাড়াই চলছে বিভাগীয় শহর খুলনার ট্রাফিক ব্যবস্থা। অর্ধেকের কম জনবল নিয়ে মহানগরীর যানজট নিয়ন্ত্রণ ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ।
দিনে-রাতে ১৫ সহ¯্রাধিক ইজিবাইক, ১০ সহ¯্রাধিক মাহেন্দ্রা-অতুল ও বিপুল পরিমাণ রিকশায় চলাচলের শহর খুলনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিবারাত্রির টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ফলে ১৬ লক্ষাধিক মানুষের বসবাসকৃত শহরে আগত অতিরিক্ত দেশি-বিদেশি অতিথিরাও চলছেন বিড়ম্বনায়। ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনাও।
ট্রাাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, মহানগরীর বেজেরডাঙ্গা থেকে রূপসা পর্যন্ত মহানগরীর সীমানায় প্রায় ৩৭টি ট্রাফিক পয়েন্টে রয়েছে। পয়েন্টগুলো হলোÑফুলবাড়িগেট, রেলিগেট, মহসীন মোড়, মিনাক্ষী সিমেনা হলের মোড়, দৌলতপুর বেবিস্ট্যান্ড, বিএল কলেজ সম্মুখ রোড, নতুন রাস্তা মোড়, গোয়ালখালী, বয়রা মহিলা কলেজ মোড়, বয়রা বাজার ক্রসিং, জোড়াগেট, নিউ মার্কেট, শিববাড়ি, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, পাওয়ার হাউস মোড়, ময়লাপোতা মোড়, ফেরিঘাট, গল্লামারী, ডাকবাংলা, শান্তিধাম, ফুল মার্কেট, রয়্যাল মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, খান-এ-সবুর রোড (ডিলাক্স মোড়), ক্লে রোড নিক্সন মার্কেট মোড়, স্বর্ণপট্টি ক্লে রোড ক্রসিং, খুলনা থানা মোড়, হাদিস পার্ক, পিটিআই মোড়, টুটপাড়া কবরখানা মোড়, রূপসা ট্রাফিক মোড়, করোনেশন গার্লস স্কুল, জিলা স্কুল, কমার্স কলেজ, সুন্দরবন কলেজ, শামসুর রহমান রোড ও সিটি কলেজ মোড়। এসব পয়েন্টের সিগনাল বাতি থাকলেও তা দীর্ঘধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এ অবস্থায় খেয়াল খুশিমত ইজিবাইক, মাহেন্দ্রা-অতুল, রিক্শা-ভ্যান, নগর পরিবহন, দূরপাল্লার বাস, মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলায় প্রায়ই নগরীতে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রয়্যাল মোড়, সিটি কলেজ মোড়, ফেরিঘাট, ডাকবাংলো মোড়, ক্লে রোড, থানার মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, ফুলবাড়ি গেট, পিটিআই মোড় এলাকায় দুর্ঘটনার বেশি ঘটছে।
সিটি কর্পোরেশনের সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সালে মহানগরীর ১৬টি পয়েন্টে সস্ক্রিয় সিগনাল বাতি চালু করা হয়েছিল। অল্পকিছুদিন পর সবগুলো বাতি নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবার নতুন করে সিগন্যাল বাতি বসানা হলেও পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে তা অকেজো রয়ে গেছে। পরবর্তীতে কর্পোরেশনের যানজট প্রকল্পের আওতায় আধুনিক প্রযুক্তির দুটি সিগনাল বাতি বসানোর উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসেনি।
এদিকে, প্রযুক্তি সমস্যার সাথে লোকবল সংকটে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, কেএমপির ট্রাফিক বিভাগে পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শক, সার্জেন্ট ও কনস্টেবল মিলিয়ে পদ সংখ্যা ৩১৫টি। এর মধ্যে বর্তমানে অর্ধেকের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) সহকারী কমিশনার মো. কলিমুল্লাহ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিগনাল বাতি না থাকা ও কম জনবলের জন্য ট্রাফিক বিভাগকে কষ্ট করতে হয়। এছাড়া ইজিবাইক ও রিক্শায় বাতি জ্বালানোর বিরুদ্ধে অভিযান এবং সিগনাল বাতি সংস্কার করা বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করা হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাস বলেন, সিগনাল লাইটের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। যত দ্রুত সম্ভব মহানগরীর সিগনাল লাইটগুলোর সংস্কার ও প্রতিস্থাপন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিষ্ক্রিয় সিগনাল বাতির শহর খুলনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ