পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের আঞ্চলিক মাদারীপুর ও ময়মনসিংহ দুই উপগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। এতে গুরুতর আহত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার ও ভাস্কর্য চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রেম নিবেদন ও এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের জের ধরে গত সোমবার আঞ্চলিক মাদারীপুর উপগ্রুপের ৩-৪ জন কর্মীকে মারধর করে ময়মনসিংহ উপগ্রুপের কর্মীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুরে মাদারীপুর উপগ্রæপের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম রেজা এবং ময়মনসিংহ উপগ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান আগুন ও বহিষ্কৃত উপ-প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান শিশিরের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতÐা হয়। ওই বাকবিতÐার জের ধরে দুই গ্রæপের কর্মীরা মঙ্গলবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে জড়ো হতে শুরু করে উভয়পক্ষ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিছিলের প্রস্তুতি নিলে সংঘর্ষ ও দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যের সামনে থাকা সরস্বতী পূজার কিছু সরঞ্জাম নষ্ট হয়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের কোতোয়ালী জোনের উপ-কমিশনার শাহেন শাহ, জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুরঞ্জন ঘোষ ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সংঘর্ষে মাদারীপুর গ্রুপের স্বাধীন আহম্মেদ বাদশা, ময়মনসিংহ গ্রুপের নাদিম, পলাশ, নাসিব, রাজীবসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বাদশাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সলিমুল্লাহ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, মাদারীপুর গ্রুপ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও ময়মনসিংহ গ্রুপের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের অনুসারী। জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।