পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এটিএম বুথে কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মূল হোতা টমাস পিটারসহ চারজনের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলামের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে টমাস পিটারসহ গ্রেফতারকৃত চারজনের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব। পিটার ছাড়া গ্রেফতারকৃত অপর আসামিরা ব্যাংক কর্মকর্তা। তারা হলেন মোরশেদ আলম মাসুদ, রেজাউল করিম ও রিয়াজ আহমেদ।
গত রোববার টমাস পিটারকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। ওই দিনই দুপুর ১২টার দিকে লন্ডনের একটি সূত্র থেকে এটিএম কার্ড জালিয়াতির বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যে টমাস পিটারের ছবিসহ তার গুলশানের ভাড়া বাসার ঠিকানাও আসে গোয়েন্দাদের হাতে। এতে পিটারের অতীত কর্মকা-ের নানা বর্ণনাও ছিল। এসব তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানের ঠিকানায় গিয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর পিটারের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাতে ওই ফ্ল্যাট থেকে টমাস পিটারকে আটক করা হয়।
এদিকে গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নবগঠিত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের চারটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে বুথ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছে। এরা একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য। গ্রেফতারকৃত বিদেশী নাগরিকের সাথে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও যোগসাজশ রয়েছে। এ জালিয়াত চক্রের সদস্য এক বিদেশী নাগরিক ও ৩ ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিদেশী নাগরিকের নাম পিটার সিজোফেন মাজুরেক। ওই বিদেশী ঢাকায় বাংলাদেশী এক নারী হোটেল কর্মচারীকে বিয়ে করেছেন। গ্রেফতারকৃত তিন ব্যাংক কর্মকর্তা সিটি ব্যাংকে চাকরি করেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানে পিটারের নিজের বাসা ও বিভিন্ন এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিটার পুলিশকে জানিয়েছে, একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে দীর্ঘদিন ধরে তারা এই জালিয়াতির কাজ করছে। প্রথমে তারা বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের এটিএম কার্ড ক্লোন করে বুথ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে বাংলাদেশিদের এটিএম কার্ড ক্লোন করে বুথ থেকে টাকা সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেন। তাদের সঙ্গে এ কাজে লন্ডনপ্রবাসী এক বাংলাদেশী, বুলগেরিয়ার ও ইউক্রেনের একজন করে নাগরিকও জড়িত আছেন। সিটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের তিন কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছেন। এই তিন কর্মকর্তার কাছে থাকা পাঞ্চ মেশিন দিয়ে কার্ড ক্লোন করতে সুবিধা হয়।
এসময় আটক বিদেশীর কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট ও তার জার্মান নাগরিক হওয়ার একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। সিটি ব্যাংকের আটক হওয়া তিন কর্মকর্তারা হলেন মকসেদ আলম ওরফে মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রেফাজ আহমেদ। তিনজনই ব্যাংকটির কার্ড ডিভিশনের কর্মকর্তা।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত পিটার সিজোফেন মাজুরেকের মূল নাম টমাস সিজোফেন মাজুরেক বলে পুলিশকে জানিয়েছে। অন্যের পাসপোর্ট চুরি করে টমাস নাম পরিবর্তন করে পিটার নাম রাখেন তিনি। ইউক্রেনে জন্মগ্রহণ করলেও পিটার মূলত জার্মানির নাগরিক।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৬ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত রাজধানীর ৬টি এটিএম বুথ থেকে বেসরকারি ইস্টার্ন, সিটি, ইউসিবিএল ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩৬ জন গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এসময় তারা গ্রাহকের এটিএম কার্ড ক্লোন করে ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে নেয়। কার্ড ক্লোন করতে তারা স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে গ্রাহকদের গোপন তথ্য চুরি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।