পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। একই সাথে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) কাওরান বাজারে সার্ক ফোয়ারায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা হরতালের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হন বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজের প্রতিবেদক কাজী এহসান বিন দিদার ও ক্যামেরাপারসন আবদুল আলিম। তাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরা মানববন্ধন করেন। সেখান থেকেই এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ও একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিচার হয় না। বিচার না হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ একটা খারাপ সূচকে অবস্থান করছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের সাথে যখন যোগাযোগ করি তখন তারা প্রাথমিক কিছু উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানায়। আমরা অপেক্ষা করছি তাদের তদন্ত কমিটি কি রিপোর্ট দেয় তা দেখার জন্য। তিনি আরও বলেন, আমরা দুঃখজনকভাবে প্রত্যক্ষ করেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি মন্তব্য। তিনি বলেছেন, পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কির কারণে নাকি দু’জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আমি আজকের এই সমাবেশ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছি। সাংবাদিকদের এ নেতা আরো বলেন, ঘটনার দিন দু’জন সংবাদকর্মীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এবং নৃশংসভাবে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এখানে ধাক্কাধাক্কির কোনো সুযোগ নাই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য। আমাদের মূল দাবি সরকার ও পুলিশ প্রশাসন যে কথা দিয়েছে তদন্ত শেষ হওয়ার পরপরই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে, আমরা সেই ব্যবস্থার জন্য অপেক্ষা করছি।
এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ মুন্নী সাহা বলেছেন, আমরা এই ঘটনার বিচারের বিষয়ে আশাবাদী। বিচারহীনতার সংস্কৃতি যদি প্রশাসন থেকেই শুরু হয় তাহলে আমরা কাদের জন্য, কী নিয়ে কাজ করব। এটা আমাদের জলে বাস করে কুমিরের সাথে লড়াই না। আমরা জানি আমাদের পুলিশের সঙ্গেই হরতাল-মিছিল-মিটিংয়ে কাজ করতে হবে। এই ধরনের ট্রেন্ড যদি চালু হয় যে সময়ে-অসময়ে পুলিশ সাংবাদিকদের পিটাবে আর পদোন্নতি নিবে; এই ধরনের পদোন্নতি নেয়ার এ ট্রেন্ডটি কি বন্ধ করা যায়? নাকি সাময়িক বরখাস্তের নামে জামাই-আদরে থাকবে। তাহলে এমন একটি সুন্দর জায়গা বলে দিন, আজকে আমরা যেমন মৌন মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি তেমনি আমরা মাইক্রোফোন ছাড়া নিরস্ত্র দাঁড়াই। আর আপনারা আমাদের পিটিয়ে পদোন্নতি নিন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী বলেছেন, পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রী পুলিশদের জনবান্ধব হওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন পুলিশ প্রশাসন তাতে কতটা সাড়া দিয়েছে তার উজ্জ্বল প্রমাণ হলো দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপরে রাজপথে কোনো অন্যায় ছাড়াই বেধড়ক পিটুনি দেয়া। মানববন্ধনে ক্রাইম রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু সালেহ আকনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।