পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নূরুল ইসলাম : ফেসবুকে রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা লিখেছেন, ‘আজ থেকে নতুন টাইম শুরু হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে। এই মুহূর্তে দেশসেরা ট্রেন সুবর্ণ ৭০১ ঢাকার দিকে এবং ৭০৪ মহানগর প্রভাতি চট্টগ্রামের দিকে ছুটে চলেছে। কোনো বাধা না থাকলে একেবারে ঘড়ি ধরে মিনিট হিসেবে রাইট টাইমে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে যাত্রীদের আনন্দের ভাগীদার হবেন প্রত্যেক ট্রেনের এলএম, এএলএম ভাইয়েরা। সে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’ দিনের অর্ধাংশে এসে সে আশার গুঁড়েবালি। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকায় পৌঁছে ৪৫ মিনিট বিলম্বে। গন্তব্যে যাতায়াতের সময় কমানোর পর গতকাল সোমবার থেকে তা কার্যকর করা হয়। প্রথম ট্রেন হিসেবে সাড়ে ৫ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ নিয়ে সুবর্ণর চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছানোর কথা বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছে বেলা ১টা ২৫ মিনিটে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে বিকাল ৩টায় ছেড়ে যাওয়া ৭০২নং সুবর্ণ এক্সপ্রেস অবশ্য শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সঠিক সময়ে চলছিল। গতকাল রাত ৮টা ২৪ মিনিটে রেলওয়ের ট্র্যাকিং সিস্টেমের এসএমএসের তথ্য অনুযায়ী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বরফকু-ু থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে ছিল। সামনের ৬টা স্টেশন পড়েই ছিল গন্তব্য স্টেশন চট্টগ্রাম। ওই তথ্যে জানানো হয়, ট্রেনটি এক মিনিটও বিলম্ব করেনি। প্রথম দিন সুবর্ণ ৪৫ মিনিট বিলম্বে ঢাকা পৌঁছানোয় রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ফেসবুকে বেশ কয়েকজন হতাশা ব্যক্ত করেন। আরশাদ রোমেল নামে একজন লিখেছেন, ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঢাকা বিমানবন্দরে অবস্থান করছে, যা আশা করেছিলাম কিছুই হইলো না। আগেই বলেছিলাম, রানিং টাইম ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট হলেও বিলম্বসহ সেই আগের মতোই হবে, সেটাই হলো।’ জাকির ডালিম নামে একজন লিখেছেন, ‘নতুন তো তাই। মনে হয় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দু-এক দিনেই ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। তা না হলে বুঝতে হবে ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে।’
যাত্রী হয়রানি কমাতে গতকাল সোমবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাতায়াতের সময় কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর শুরু হয়। পূর্বের সময়সূচি অনুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসতে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের সময় লাগত ৬ ঘণ্টা ১০ মিনিট। একইভাবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে সময় লাগত ৬ ঘণ্টা ২০ মিনিট। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী এই সময় কমিয়ে ৫ ঘণ্টা ৪০ মিনিট এবং সাড়ে ৫ ঘণ্টা করা হয়েছে। গন্তব্যে পৌঁছার এই সময় কমানোর জন্য রেলওয়ের চালক ও সহকারী চালকদের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। সময় কমানোর ঘোষণার পর তাদের উচ্ছ্বাসের প্রতিফলন ঘটে রেলওয়ের ফেসবুকে। অনেকে আবার সাড়ে ৫ ঘণ্টাকে অতিরিক্ত সময় বলতেও দ্বিধা করেননি। কেউ কেউ ৫ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে অনায়াসে যাওয়া-আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, সড়কপথের প্রভাবশালী বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতেই গন্তব্যের সময়কে দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। সেইসব দাবির প্রথম সূচনা কেমন হয় তা দেখার আগ্রহ ছিল অনেকেরই। প্রথম পর্বে সুবর্ণ ৪৫ মিনিট বিলম্বে ঢাকা পৌঁছানোয় অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে ওই ট্রেনের চালক ও সহকারী চালক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে একজন যাত্রী বলেছেন, চালকদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার পর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরতিহীনভাবে চলার কথা। কিন্তু মাঝপথে বেশ কয়েকটি স্থানে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। বিলম্বের কারণ সেটাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।