পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ভারত থেকে পাথর আমদানি নিয়ে চলতি মাসের প্রথম থেকে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনের জন্য রোববার উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানীকারকদের মধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারত থেকে পাথর আমদানি নিয়ে ভারতীয় রপ্তানীকারকদের সাথে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল তা নিরসন কল্পেই রোববার দুপুরে আমদানি-রপ্তানী কারক গ্রæপের সোনামসজিদ কার্যালয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা আলোচনার পর ভারতের মহদীপুর রপ্তানীকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার সাহা ও আমদানি-রপ্তানীকারক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। ১০ ফেব্রæয়ারীর আলোচনায় সিদ্ধান্তসমূহ আগামী ২৫ ফেব্রæয়ারী থেকে বাস্তবায়ন করা হবে বলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা জানায়। সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ছিল স্টোন, বোল্ডার রপ্তানী মূল্য পরিবর্তন হবে না, ষ্টোন চিপস ২৫ ফেব্রæয়ারী থেকে বাংলাদেশে সেপটি হিসাবে ওজন হবে, ভারতীয় রপ্তানীকৃত যাবতীয় পাথরের গুনগতমান নিয়ন্ত্রণ করা হবে ও আমদানি-রপ্তানী স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়া আসার পর রপ্তানীকারকদের প্রাপ্য কমিশন, টোনের ওজনের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। আলোচনা অনুষ্ঠানে ভারতীয় রপ্তানীকারকের পক্ষে মহদীপুর এক্সপোর্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুকুমার সাহা, মুঞ্জুরে মাওলা, সাদিকুল ইসলাম ভুট্টু, তপন দাস, সুরঞ্জিত সাহা ও অসক কুমার। বাংলাদেশি আমদানিকারকদের পক্ষে আমদানি-রপ্তানীকারক গ্রæপের সভাপতি কবিরুল রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, হাজী সাহাবুদ্দীন, হাজী মুনসুর আলী, হাজী মেরাজুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম সেন্টু। উল্লেখ্য, ভারতের রপ্তানীকারকেরা জানুয়ারী মাস থেকে যে সমস্ত পাথর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানী করছে তার মধ্যে রয়েছে ধুলো-বালি, ইটের খোয়া ও নিম্নমানের পাথর। এরই প্রতিবাদে ৬ ফেব্রæয়ারী থেকে ১০ ফেব্রæয়ারী পাথর আমদানিকারকেরা ওই সব পাথর আমদানি বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে পাথর আমদানিকারকদের উক্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ভারতীয় রপ্তানীকারকেরা সকল প্রকার পণ্য রপ্তানী বন্ধের ঘোষণা দিলে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানীকারকদের মধ্যে এক আলোচনা সভা হয় এবং নিম্নপাথর মানের পাথর সরবরাহ করবে না বলে অঙ্গীকার করলেও আবার নিম্নমানের পাথর সরবরাহ করতে থাকে।
ফলে গত বৃহস্পতিবার সাড়ে ৮ ঘন্টা আবারও পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। গত ১০ তারিখের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষে সোনামসজিদে পুনরায় উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানীকারকদের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।