পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : অবশেষে সাড়ে ৬ মাস পর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সোমবার কমিশন বৈঠকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৭৭ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে।
১২ মে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৫৪৩তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দিয়েছিল বিএসইসি। তবে বিএসইসির এ অনুমোদনের বিষয়ে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়।
আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বীমা কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি করতে হলে আইডিআরএ’র অনুমোদন নিয়ে কোম্পানির বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) কোম্পানির সংঘ স্মারক ও সংঘবিধি পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স আইডিআরএ’র অনুমোদন ছাড়াই ইজিএম করে কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন, পরিশোধিত মূলধনের উদ্যোক্তা ও জনগণের শেয়ার ধারণের অনুপাত পরিবর্তন করে।
আইডিআরএ’র অনুমোদন ছাড়াই আইপিওর মাধ্যমে মূলধন বৃদ্ধির বিষয়টি ১৭ জুন বিএসইসিকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়। আইডিআরএ’র চিঠির প্রেক্ষিতে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘আইনগত সকল বাধ্যবধকতা পূরণ করায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সকে আইপওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
২৫ জুন আইডিআরএকে দেওয়া এ বক্তব্যের ৪ দিনের মাথায় ২৯ জুন কোম্পানিটির আইপিও স্থগিত করে বিএসইসি। এ বিষয়ে বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে বাংলাদেশ ন্যাশনালের আইপিওর চাঁদা গ্রহণ আপাতত স্থগিত করা হলো।’ ৩০ জুন থেকে কোম্পানিটির আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার কথা ছিল।
পরবর্তী সময়ে আইপিও বাতিলের পর তা (আইপিও) ফিরে পেতে গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনালকে কয়েকটি শর্ত দেয় আইডিআরএ। এ শর্তের মধ্যে ছিল পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেক সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
একইসঙ্গে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সানা উল্লাহকে ৪ মাসের জন্য দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে হবে। আর কোম্পানি সচিব মো. মাসুদ রানা ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মো. ফিরোজুল ইসলামকে বিভাগীয় শাস্তি দিতে হবে।
গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স থেকে শর্তপালনের বিষয়ে আইডিআরএকে চিঠি দিয়ে শর্ত পূরণের বিষয়টি জানানো হয়। এতে আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
ছাড়পত্রের এ বিষয়টি জানানোর পর আইপিওর ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।