পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজিজুল ইসলাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ থেকে : বাল্যবিবাহ একটি অভিশাপ। এ অভিশাপে জর্জরিত গরিব, নিরীহ, অসহায় পরিবারের লোকজন। বিশেষকরে অস^চ্ছল পরিবারের অভিবাভকরা ছেলেমেয়েদেরকে বাল্যকালে বিবাহ দেন। বাল্যবিবাহের কবলে পড়ে ছেলেমেয়েদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। অনেক পরিবারের অভিবাভকরা অভাবের তাড়নায় ছেলে-মেয়েদেরকে বাল্যকালে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেন। ফলে এ সকল ছেলেমেয়েদের জীবনে নেমে আসে দুঃখ-দুর্দশা, লাঞ্ছনা। এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের জীবনও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। অনেক সময় মেয়েদের গর্ভকালীন সময়ে মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন বেশ কিছদিন যাবত বাল্যবিয়ে রোধ করার লক্ষ্যে কঠোর ভূমিকা পালন করছেন। ইতোমধ্যে জেলার ছাতক, বিশ^ম্বরপুর, তাহিরপুর উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আর এর মধ্যে সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। এ জেলার লক্ষাধিক শিক্ষার্থী একযোগে বাল্যবিয়েকে লালকাড দেখাল। জেলার বিভিন্ন স্থানের ১১টি উপজেলার ২৯৯টি ভেন্যুতে শিক্ষার্থীরা এক যোগে বাল্যবিবাহকে লাল কার্ড প্রদর্শন করে। বিভিন্ন ভেন্যু থেকে শিক্ষার্থীরা বাল্যবিয়ে থেকে বের হবার অঙ্গীকার নিয়ে হাত উচিয়ে বাল্যবিয়েকে গুডবাই জানায়। এ ঘোষণার সাথে শামিল হয়েছেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গতকাল সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমদ সুনামগঞ্জ জেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা দেন। একই সময়ে এক যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভেন্যুতে সমবেত শিক্ষার্থীরা লালকার্ড প্রদর্শন করেন। সুনামগঞ্জের এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান গিনিস বুকে স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন ।
সুনামগঞ্জকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণার আগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দীন আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবেরা আক্তার। জেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুজ্জামান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।