পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ‘এক্সপোর্টার রিটেনশন কোটা’ বা ইআরকিউ হিসেবে জমা থাকা অর্থ দিয়ে একই মালিকের অন্য অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আমদানি দায় মেটানো যাবে। নতুন এই নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অথোরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতিমালা অনুযায়ী, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো রফতানি আয়ের একটি অংশ ইআরকিউ হিসেবে জমা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠানের রফতানির পরিমাণ অনেক বেশি তারা ১৫ শতাংশ এবং কম রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ ইআরকিউ হিসেবে রাখতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি, বিদেশে অবস্থিত লিয়াজোঁ অফিস রক্ষণাবেক্ষণের খরচ মেটানোসহ বিভিন্ন কাজে এই হিসাব থেকে অর্থ ব্যয় করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ইআরকিউ হিসেবে রক্ষিত অর্থ ওই প্রতিষ্ঠানের আমদানি দায় মেটাতে ব্যবহার হয় না। অথচ একই মালিকের অন্য প্রতিষ্ঠানের আমদানির জন্য তাকে বাজার থেকে ডলার কিনতে হয়। নতুন এই সুযোগের ফলে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনজনিত খরচ কমবে।
উল্লেখ্য, এতদিন ইআরকিউ হিসাব থেকে কেবল নিজ প্রতিষ্ঠানের আমদানি দায় মেটানোর সুযোগ ছিল। অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আমদানি ব্যয় মেটানোর সুযোগ ছিল না। গত রোববার নতুন এই নির্দেশনাটি জারি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।