পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : কলকাতার অভিজাত এলাকায় এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের মা এবং দুই যমজ ছেলের হত্যা রহস্য তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। শনিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাট থেকে একই সঙ্গে গলা কাটা অবস্থায় এক নারী ও তাঁর দুই কিশোর পুত্রের লাশ উদ্ধার হয়। নিহত মহিলার স্বামীও গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ বলছে, পাম এভিনিউ এলাকার তিনতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তিনটি লাশ ও এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ৪৩ বছরের ওই নারীর নাম জেসিকা ফনসেকা। আর মৃত দুই কিশোর যমজ ভাই ১৬ বছর বয়স তাদের।
পরিবারের কর্তা আহত নেইল ফনসেকাকে হাসপাতালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছে পুলিশ। কথা বলা হচ্ছে ফনসেকার মেয়ে, শ্যালিকা ও কয়েকজন পরিচিতজনদেরও। “প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে পারিবারিক বিবাদের ফলেই এই খুন। মি. ফনসেকা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে খুব বেশীক্ষণ কথা বলা যায় নি। তিনি কিছু সূত্র দিয়েছেন। তদন্ত চলছে। লাশগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে”, বলছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান দেবাশীষ বঙাল।
পুলিশের সূত্রগুলি থেকে জানা যাচ্ছে যে মি. ফনসেকা জানিয়েছেন যে তাঁর স্ত্রী দুই ছেলে হত্যা করছেন দেখে তিনি বাধা দিতে যান এবং মেরে ফেলেন স্ত্রীকে। তাঁর এই বক্তব্য কতটা সঠিক তা নিয়ে পুলিশ নিশ্চিত নয়।
আরও জানা গেছে যে মি. ফনসেকার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেন এবং তিনি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।
রাতে উচ্চমধ্যবিত্ত এই গোটা পরিবারটিই একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে দুই ছেলে, মেয়ে, শ্যালিকা ও স্ত্রী সহ নেইল ফনসেকা সকলে নিজেদের ফ্ল্যাটেই ছিলেন।
কেন মেয়ে বা শ্যালিকা স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, বিবাদ এবং ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেলেন না, তা পুলিশের কাছে এখনও পরিষ্কার নয়। কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এই তিন খুনের কারণ কী না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।