Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে জেলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে : এলজিআরডি মন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ  হোসেন এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখতে জেলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় ও বেলা সাড়ে ১১টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুই পর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত এই সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
মন্ত্রী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বলেন, আপনারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আপনারা সদস্যগণ দেশের উন্নয়নে সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী প্রথমে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ৫৫৮ জন জেলা পরিষদের সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান। পরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা পরিষদের ৬১১ জন নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকারের একটি প্রাচীনতম ও জনসমাদৃত ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মানুষের সেবা নিশ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন, নানা উত্থান-পতনে জেলা পরিষদের কাজ কখনও  থেমে থাকেনি। ছোট ছোট প্রকল্প নিয়ে জেলা পরিষদ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা নির্মাণে কাজ করার সুযোগ জেলা পরিষদের রয়েছে।
মন্ত্রী জেলা পরিষদের ইতিহাস বিবৃত করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর ২০০০ সালে জেলা পরিষদ আইন পাস করেন। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার আমলেই জেলা পরিষদকে আরো শক্তিশালী ও জনকল্যাণমূলক করার জন্য তা সংশোধন করা হয়।
বর্তমান সরকার জনগণের সরকার উল্লেখ করে এলজিআরডি মন্ত্রী আরো বলেন, পরিকল্পিত নগর ও গ্রাম উন্নয়নের জন্য সরকার মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
স্থানীয় সরকার সচিব আবদুল মালেক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি শপথ অনুষ্ঠানে জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১১৬৯ জন সদস্যের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। যাদের শপথ গ্রহণ গতকাল অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ২০০০ সালে সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ আইনটি পাসের ১৬ বছর পর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ৫৯টি  জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদের ১৩১ বছরের ইতিহাসে এটিই ছিল জেলা পরিষদের প্রথম সরাসরি নির্বাচন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এলজিআরডি মন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ