পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্র্যাব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর পালিয়ে জঙ্গিনেতা তৎপরতায় জড়িত সৈয়দ জিয়াউল হকের গতিবিধি অনুসরণ করা। যে কোনো সময় তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে।
গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নতুন নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাতে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন আসাদুজ্জামান কামাল।
মন্ত্রী বলেন, জিয়ার অনুসারীদের প্রায় সকলকে ধরা হয়েছে। জিয়ার প্রতিও আমাদের নজরদারি রয়েছে। আমরা তাকে ফলো করছি। যে কোনো সময় হয়ত আমাদের নেটওয়ার্কে এসে পড়বে।
তিন বছর মন্ত্রী থাকাকালে ভালোলাগার দিক ও চ্যালেঞ্জ কী জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভালো লাগার দিক হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে কোনোদিন বলেননি যে, এই লোকটাকে ছেড়ে দাও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সব সময় বলেছেন, অপরাধী যেই হোক তাকে ধরো। মন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় অনেক ক্ষেত্রে অনেক বিধিনিষেধ থাকে যে, ওমুক রাজনৈতিক নেতাকে ছেড়ে দাও, কেন ধরেছ। কোনোদিন প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ ধরনের কথা বলেননি। চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ অনেক। হঠাৎ হঠাৎ নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়। কারণ বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের অভাব নেই। আমাদের সেই ষড়যন্ত্র আজকে নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে। তাতে ষড়যন্ত্র করবে না, এমন চিন্তাই আমরা করি না। আমাদের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, ষড়যন্ত্র থাকবে।
২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করার খবর দেয়। অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের নেতা হিসেবে জানানো হয় মেজর জিয়ার নাম।
তখন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া জিয়া পালিয়ে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
গুলশান হামলার পর জিয়াকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে সরকার। তখন পুরস্কার ঘোষিত তামিম চৌধুরীসহ জঙ্গিদের কয়েকজন শীর্ষনেতা র্যাব-পুলিশের অভিযানে নিহত হলেও জিয়ার খোঁজ এখনো মেলেনি।
জিয়াকে এখনো ধরতে না পারার ক্ষেত্রে গোয়েন্দাব্যর্থতাকে মূল কারণ হিসেবে মানতে নারাজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অপরাধীরা অপরাধের ধরন পাল্টাচ্ছে, কৌশল পাল্টাচ্ছে, সেই সঙ্গে আমাদের (গোয়েন্দা) ধরনও পাল্টানোর ব্যবস্থা করছি। আমি এটা বলব না যে, আমাদের গোয়েন্দারা ‘অয়েল ট্রেইনড’। আমরা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছি। বিদেশে পাঠাচ্ছি। বিদেশি গোয়েন্দাদের সহযোগিতা চাচ্ছি।
সৌজন্য সাক্ষাতে ক্র্যাব সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে কমিটির সহ-সভাপতি সাব্বির মাহমুদ, যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, কোষাধ্যক্ষ আজিজুল হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ রানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রফিক মজুমদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শাহিন আলম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, দফতর সম্পাদক রুদ্র রাসেল, কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফ, খালিদ আহমেদ ও জাকারিয়া উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।