পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজিবুল হক পার্থ : নির্ধারিত ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪ হাজার ২০০ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। এসব ইউপির মেয়াদ (৫ বছর) শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগে এ নির্বাচন হচ্ছে। সেই হিসাবে প্রায় ৫ বছর আগেই নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন জানা ছিল। কিন্তু এর মাঝে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুই ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হলেও এখন তফসিলের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক কাজই বাকি। এ ছাড়া সারাদেশে এই নির্বাচনী কর্মযজ্ঞ চললেও কোনো ব্যস্ততা নেই ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের। তারা রীতি ভ্রমণে ব্যস্ত। এ নিয়ে খোদ ইসিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণার ১০ দিন পার হলেও নির্বাচনী আইন, বিধি ও বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী ফরমের নমুনার একীভূত বই (ম্যানুয়েল) পাননি রিটার্নিং কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পরপরই ম্যানুয়েলের প্রয়োজন হয়। প্রথমবারের মতো দলীয় এ নির্বাচনে নতুন অনেক বিষয় বিধিমালায় যুক্ত হয়েছে। এক বইতে সব ধরনের নির্দেশিকা ও আইন-বিধি থাকায় নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে সুবিধা হয়। ম্যানুয়েল না থাকায় প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এবং আইনি সমস্যার সমাধান পেতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। তারা বলেন, ইউপিতে ইসির কর্মকর্তার বাইরেও সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য এ বইটি খুবই দরকার। কিন্তু কমিশন থেকে আইন, বিধি ও ম্যানুয়েলের আলাদা সফট কপি পাঠানো হয়েছে। মফস্বলে ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ায় এসব কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক মনোনয়ন ফরম বিতরণ করবেন। ওই ফরমের সঙ্গে ভোটার তালিকার সিডি প্রার্থীদের বাধ্যতামূলক কিনে নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেশিরভাগ এবং ১৫ ফেব্রুয়ারিতে কোনো কোনো উপজেলায় মনোনয়ন ফরম বিতরণ করতে পারেননি রিটার্নিং কর্মকর্তারা। অন্যদিকে ২য় দফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে কোনো ফরম না পাঠিয়েই। তবে তফসিল ঘোষণার পরের দিন এসব সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে ইসি সচিবালয় জানিয়েছে।
এদিকে এখনো ছাপানো হয়নি প্রায় ২ হাজার রিটার্নিং অফিসারের নির্বাচন পরিচালনা সহায়ক ম্যান্যুয়েল। ফলে প্রথম ও ২য় দফায় ঘোষিত তফসিলের অধীনে থাকা নির্বাচন কর্মকর্তারা পড়েছেন বিপাকে। একদিকে মনোনয়নপত্র দিতে পারছেন না। অন্যদিকে মনোনয়পত্র দিতে পারা এবং নির্বাচনী আইনের সংশোধনী কোনো বিধিও জানাতে পারছেন না। এতে করে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের কাছে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রথম দফায় ছাপানো ২০ হাজার মনোনয়ন ফরমের কভার পৃষ্ঠায় ভুল শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। ২০ হাজার ফরম ছাপার একপর্যায়ে এই ভুল ধরা পড়ে। এতে ছাপার কাজ বন্ধ রেখে ভুল সংশোধন করে পরবর্তীতে আবার ফরম ছাপানো হয়। প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় সময় স্বল্পতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভুল ছাপা হওয়ায় ২০ হাজার মনোনয়নপত্র মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। তারা বলেন, বিষয়টি নিয়ে যাতে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইসির একজন উপসচিব জানান, আসলে এটা ভুল না, অসাবধানতা। পৌরসভার আদলেই ছাপানো হয়েছে মনোনয়নপত্র। পরে যে সংশোধনী আনা হয়েছে সেটা ছাপানোর সময় মাথায় নেয়নি। এটা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের খামখেয়ালি বলা চলে। এ নিয়ে প্রার্থিতা বাতিলের পর সংক্ষুব্ধরা ঝামেলা করতে পারে।
এদিকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগ থেকে ‘অনিবার্য কারণবশত’ ভোটার সিডি স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সব এলাকায় নতুন করে সিডি পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়। তফসিলের ৬ দিন পর সিডি স্থগিত করার মাধ্যমে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময়ই সিডি বিক্রি করতে হয়। এ নিয়ে নতুন ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে।
এনআইডির সূত্রে জানা গেছে, কিছু ভুলের কারণে সিডি স্থগিত করে নতুন করে তালিকা পিডিএফ ফাইলে পাঠানো হয়েছে। এগুলোকে সিডি করে বিক্রি করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
এদিকে সবচেয়ে বড় পরিসরের এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি সচিবালয়ের কোনো ব্যস্ততা নেই। পরপর দুই ধাপের তফসিল ঘোষণার দিনে ইসি সচিবালয়ে থাকছেন না শীর্ষ কর্মকর্তারা। প্রথম দফায় তফসিলের পর থেকে ইসিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মনোনয়ন করে জমা দিতে গিয়ে ক্ষুব্ধ হন তারা।
ইসি সচিব মো: সিরাজুল ইসলাম ভোটার সিডি ও মনোনয়নপত্রে ছোটখাটো ত্রুটি হয়েছে তা শোধরানো হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।