পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ঝাজর এলাকায় গতকাল সেনাসদস্যের গুলিতে একজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। চাকরি ও শিক্ষায় কোটা সংরক্ষণের দাবিতে সেখানে জাঠ বিক্ষোভে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর আগের দিন ব্যাপক বিক্ষোভে তিনজন নিহত হওয়ার পর তিনটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়। দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশকে। গতকাল আরো তিনটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা এবং চাকরিতে কোটার দাবিতে সংখ্যালঘু জাঠ সম্প্রদায়ের মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। ভারতে জাঠ সম্প্রদায়কে উচ্চ বর্ণের বলে গণ্য করা হয়। গত এক বছরে শিক্ষা ও চাকরিতে কোটার দাবিতে জাঠরা আরও কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছে। হরিয়ানার কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ দমাতে সামরিক বাহিনী তলব ও কারফিউ জারি সত্ত্বেও বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা একটি রেলস্টেশনে হামলা করে স্টেশন মাস্টারের অফিসে আগুন দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের একজন নেতা যশপাল মালিক বলেছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।
বিক্ষোভকারীরা সরকারি ও পঞ্চায়েত কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের চেষ্টাকালে সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। শুক্রবার রাতে এসব অস্ত্রশস্ত্র তারা চুরি করেছিল। এ পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। রোহতাকের আশপাশের গ্রামে প্রায় ১০ হাজার মানুষের এক উন্মত্ত জনতা সহিংসতায় লিপ্ত হয়। তারা বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনাও তছনছ করে। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী এখনো সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। হরিয়ানার আরো এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় জেলা প্রশাসন জিন্দ, সোনিপাত ও গোহানায় কারফিউ জারি করেছে। ইতিমধ্যে রোহতাক, ভিওয়ানি ও ঝাজর এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। কিন্তু কারফিউ উপেক্ষা করেই বিক্ষোভকারীরা তাদের তা-ব চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এমএল খাট্রার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি নতুন করে আবেদন জনিয়েছেন। তিনি বলেন, হরিয়ানার জনগণকে যে কোন মূল্যে আইনশৃঙ্খলা ও সমাজে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। এজন্য আমি তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে দিনের শুরুতে রোহতাক জেলার মেহাম এলাকায় উন্মত্ত জনতা একটি পুলিশ স্টেশন, একটি পেট্রোলপাম্প ও একটি সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।