Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিজ্ঞাসার জবাব

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

১। মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাফওয়ান, শাহাপুর, কুমিল্লা।
জিজ্ঞাসা : রমজান মাসের কিছু করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করুন?
জবাব : সময় মতো নামাজ আদায় করা : সিয়াম পালনের সাথে সাথে সময় মত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়। কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় নামাজ মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ” (সূরা নিসা- ১০৩)। এ বিষয়ে হাদিছে বলা হয়েছে, “আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! কোন আমল জান্নাতের অতি নিকটবর্তী? তিনি বললেন, সময় মত নামাজ আদায় করা” (মুসলিম)।
সহীহভাবে কোরআন শেখা : রমজান মাসে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ মাসের অন্যতম আমল হলো সহীহভাবে কোরআন শেখা। কোরআন শিক্ষা করা সকল মুসলিমের জন্য সব ফরজের বড় ফরজ এবং আল্লাহর সর্বপ্রথম আদেশ। কেননা কোরআনে বলা হয়েছে, “পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন” (সূরা আলাক-১)। রাসূল (সা.) কোরআন শেখার নির্দেশ দিয়ে বলেন, “তোমরা কোরআন শিক্ষা কর এবং তিলওয়াত কর” (মুসনাদ আলজামি)।
অপরকে কোরআন পড়া শেখানো : রমজান মাস অপরকে কোরআন পড়া শেখানোর উত্তম সময়। রাসূল (সা.) বলেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে কোরআন শিক্ষা দেয়” (সহীহ বুখারি)। “যে আল্লাহর কিতাব থেকে একটি আয়াত শিক্ষা দিবে, যত তিলাওয়াত হবে তার সওয়াব সে পাবে” (সহীহ কুনুযুস সুন্নাহ আননবুবিয়্যাহ)। সুবিধানজক সময়ে সুবিধানজক স্থানে কোরআন শিখানোর ব্যবস্থা করা, কোরআনের ক্লাস চালু করার সুবর্ণ সুযোগের মাস হচ্ছে মাহে রমজান।
উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা : রমজান মাস নিজেকে গঠনের মাস। এ মাসে এমন প্রশিক্ষণ নিতে হবে যার মাধ্যমে বাকি মাসগুলো এভাবেই পরিচালিত হয়। কাজেই এ সময় আমাদেরকে সুন্দর চরিত্র গঠনের অনুশীলন করতে হবে। রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সিয়াম পালন করে, সে যেন তখন অশ্লীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। সিয়াম পালন করা অবস্থায় কেউ যদি তার সাথে গালাগালি ও মারামারি করতে আসে, সে যেন বলে, আমি সিয়াম পালনকারী” (সহীহ মুসলিম)।
তাওবাহ করা : তাওবাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ ফিরে আসা, গুনাহের কাজ আর না করার সিদ্ধান্ত নেয়া। এ মাস তাওবাহ করার উত্তম সময়। আর তাওবাহ করলে আল্লাহ খুশি হন। আল কোরআনে এসেছে, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর, খাঁটি তাওবাহ; আশা করা যায়, রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়” (সূরা আততাহরীম-৮)। রাসূল (সা.) বলেছেন, “হে মানবসকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ এবং ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর আমি দিনে তার নিকট একশত বারের বেশি তাওবাহ করে থাকি” (সহীহ মুসলিম)।
উত্তর দিচ্ছেন : দিদার উল আলম।



 

Show all comments
  • Md. Nazmul Hossain ১২ জানুয়ারি, ২০১৭, ৮:৫২ পিএম says : 0
    Al hamdulillah ! Daily Inqilab thanks .
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ