মটর সাইকেল: নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে (নতুন বাস্তবতায়)
মটরসাইকেল নিরাপদ, অধিক সুবিধাজনক, খরচ এবং সময় বাঁচায়। গণপরিবহনে একে অন্যের গা ঘেঁষে চলাচলে প্রতিদিন
আব্দুল্লা আল শাহীন : সংযুক্ত আরব আমিরাতে দীর্ঘদিন থেকে ভিসা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার, আমিরাতের কমিউনিটি এবং সাধারণ প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপায়ে ভিসা চালুর জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কূটনৈতিক পদ্ধতিতে। আমিরাত সরকারের কাছে অনেক বার ভিসা চালুর জন্য বলা হয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে- এমনটাই মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
শ্রম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভিসা চালুর জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে একাধিকার বলা হয়েছে যা আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। আমিরাতের সাথে আলোচনার কথা উল্লেখ করে দেশের একাধিক মন্ত্রী ফেসবুকে পর্যন্ত পোস্ট করেছেন। শুধু তাই নয় একজন মন্ত্রী ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছেন আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভিসা চালু হয়নি।
আমিরাতের প্রবাসী কমিউনিটি থেকে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ভিসা চালুসহ আমিরাত সরকারের কাছে বাংলাদেশকে পজেটিভ দেশ হিসেবে উপস্থাপনের জন্য। সেই অনুযায়ী ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে দুবাই সোশ্যাল ক্লাবের নেতৃত্বে প্যারেডে অংশ নেয় শতাধিক প্রবাসী।
২০১৬ সালে আমিরাতের ৪৫তম জাতীয় দিবসে ৪৫ পাউন্ডের কেক কেটে, আলোচনা অনুষ্ঠান, জাতীয় দিবসের পিকনিকসহ জাতীয় দিবসে নানান আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে একাধিক সামাজিক সংগঠন।
এছাড়া সাধারণ প্রবাসীরা আগের চেয়ে অনেক সচেতন। আমিরাতে বাংলাদেশী প্রবাসীদের অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে কমেছে। আমিরাত প্রবাসীরা এখন নিজেদের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বুঝতে শিখেছে। আমিরাতের আইনকানুন ঠিক মতো মেনে চলছে। আমিরাতের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের ত্রুটি দেখাচ্ছে না।
আমিরতের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আমিরাতের প্রতি প্রচুর পরিমাণে ভালোবাসা প্রকাশের পরও অজানা কারণে প্রায় ৫ বছর থেকে ভিসা বন্ধ রয়েছে। আমরা আর কত ভালোবাসা দেখালে আমাদের ভিসা সমস্যার সমাধান হবে তাও জানা নেই। দেশ থেকে আমিরাতে আসার জন্য আগ্রহে অপেক্ষায় আছে অনেক বেকার যুবক। ভিসা চালু না হলেও অন্তত যারা আমিরাতে আছেন তাদের ভিসা ট্রান্সফারের সুযোগ হলে অনেক ভালো হয়। শুধু মাত্র বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ট্রান্সফার বন্ধ রয়েছে।
আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার ফসল কবে আসবে একমাত্র মহান আল্লাহ জানেন। দেশের লাখো পরিবার চলে এদেশের প্রবাসীদের উপার্জিত টাকায়। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটন্সের জন্য। সুতরাং আমরা চালিয়ে যাবো আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানাই প্রয়োজন হলে কূটনৈতিক পদ্ধতি পরিবর্তন করে বা কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভিসা চালু বা ট্রান্সফার প্রক্রিয়ার সুযোগ আদায় করুন।
এবং আমরা প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আমিরাতের আইনকে সম্মান এবং জীবিকার্জনের মাধ্যম হিসেবে আমিরাতের প্রতি ভালোবাসা অব্যাহত রাখবো।
ষ লেখক : আরব আমিরাত প্রবাসী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।