Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ধূমকেতু ধ্বংস হবার তথ্য আবিষ্কার করল হাবল টেলিস্কোপ

প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৩ এএম, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭

ইনকিলাব ডেস্ক : একটি বিরাট গ্রহ বিভিন্ন ধূমকেতুকে নিকটবর্তী একটি সৌরজগতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে বিচ্ছুরিত ধূমকেতুগুলো সেখানে গিয়ে ধ্বংস হচ্ছে। হাবল টেলিস্কোপ নক্ষত্রের দিকে নিক্ষিপ্ত বিভিন্ন ধূমকেতুর ধ্বংসপ্রাপ্ত হবার তথ্য আবিষ্কার করেছে। নভোবিজ্ঞানীরা বলেন, বৃহস্পতির মতো একটি গ্রহ সম্ভবত এসব ধূমকেতুকে তাদের ধ্বংস্থলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
উল্লিখিত নক্ষত্রটি আনুমানিক ২ কোটি ৩০ লাখ বছরের পুরনো। এর নামকরণ করা হয়েছে এইচডি ১৭২৫৫৫। এটি পৃথিবী থেকে ৯৫ আলোকবর্ষ দূরে একটি নতুন সৌরজগতের নিকটে অবস্থিত। নভোবিজ্ঞানীরা আরো মনে করেন, এগুলোর নিকটবর্তী নক্ষত্র জগত এবং প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কিত গঠন ও তথ্য জানার প্রধান উপায় হতে পারে এই আবিষ্কার।
মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে নাসার গডার্ড মহাকাশ কেন্দ্রের ক্যারল গ্রাডি বলেন, ‘মূলত এই বিচরণরত ধূমকেতুগুলোতে সম্ভাব্য জীবনের অস্তিত্ব থাকতে পারে। কারণ, সেগুলোতে জীবন ধারণের উপাদান যেমন পানি, কার্বন ইত্যাদি রয়েছে’।
গ্রাডির বিজ্ঞানী দল মনে করে, নিকটবর্তী বৃহস্পতির মতো গ্রহটি মধ্যাকর্ষণজনিত সূত্র অনুযায়ী ধূমকেতুগুলোকে তাদের পথপরিবর্তন করিয়ে নক্ষত্রটির দিকে ধাবিত হতে বাধ্য করে।
আমাদের সৌরজগতের বাইরের ধূমকেতুগুলোকে এক্সোকমেট বলা হয়। এগুলো পৃথিবী থেকে এত দূরে যে, আমাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও সরাসরি দেখার পরিবর্তে তাদের লেজের কোনো কোনো উপাদান সামান্যই সনাক্ত করতে পারে।  
স্পেক্টোগ্রাফের মাধ্যমে আলোর উপাদানের বিভিন্ন রং সনাক্ত করে বিজ্ঞানীরা কোনো বস্তুর রাসায়নিক গঠন চিহ্নিত করতে পারেন।
এভাবে ইউরোপীয় দক্ষিণাঞ্চলীয় মানমন্দির থেকে হাই অ্যাকুরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্ল্যানেট সার্চার (এইচএআরপিএস) ২০১১ সালে নক্ষত্রের মধ্যকার ক্যালসিয়ামের নিদর্শন সনাক্ত করেন।
২০১৫ সালে হাবল টেলিস্কোপ ইমেজিং (এসটিআইএস) এবং কসমিক অরিজিন্স স্পেক্টোগ্রাফ (সিওএস) ব্যবহার করে গ্রাডি এবং তার দল অতিবেগুনি রশ্মি বিশ্লেষণ করে  সিলিকন ও কার্বন গ্যাস সনাক্ত করেন। তারা দেখতে পান, এই গ্যাস নক্ষত্রটির মুখগহ্বরে ঘণ্টায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মাইল (৫ লাখ ৭৯ হাজার কিলোমিটার) বেগে পরিভ্রমণ করে।
গ্র্যাডি বলেন, ‘সঞ্চরণশীল এই বাষ্পীয় পদার্থ সহজে দেখা যায়, কেননা এগুলোর কাঠামো খুবই বিশাল’। সূত্র : রাশিয়া টুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ