পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবক তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে এক সঙ্গে গলা কেটে হত্যা করেছে।
গতরাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। হত্যাকাÐের পর এলাকাবাসীরা ওই যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ জানান, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের উত্তর কাঁচপুর গ্রামের খায়রুল বাশারের বাড়িতে কাঁচপুর বিসিক শিল্প নগরীর মাকরী ফ্যাশন লিমিটেডের কর্মচারী কাউসার মিয়া (২৫) তার স্ত্রী শারমিন আক্তার লাভলীকে (২০) নিয়ে চার মাস আগে ওই বাড়িতে ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। কাউসার বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার হোসেনের ছেলে।
গতকাল দুপুরে কাউসার মিয়ার শাশুড়ি রাশিদা বেগম (৫৫) তার ছেলে ইমদাদুল হককে (১৭) নিয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে মেয়ের ভাড়া করা বাড়িতে বেড়াতে আসেন। দুপুরের খাবার শেষে ইমদাদুল হক বাসা থেকে বের হয়ে কাঁচপুরে বেড়াতে যায়। এ সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রথমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া করার একপর্যায়ে রাশিদা বেগম মেয়ের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউসার মিয়া ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে প্রথমে তার স্ত্রী লাভলীকে দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। মেয়েকে কোপাতে দেখে রাশিদা বেগম প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে কাউসার মিয়া তার শাশুড়িকে কোপায়। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি কোপে মা মেয়ে দু’জনেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘরের দরজা খুলে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীরা কাউসার মিয়াকে ঘরের ভেতরে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং কাউসার মিয়াকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নিহত লাভলীর ছোট ভাই ইমদাদুল হক জানান, পাঁচ বছর আগে আমার বোনের বিয়ে হয়। আমার বোনও কাঁচপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতো। আমি এ হত্যাকাÐের বিচার চাই।
নিজের স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে কাউসার মিয়া জানান, আমার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিল। আমি এর প্রতিবাদ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে জেদ করে প্রথমে তাকে পরে প্রতিবাদ করায় তার মাকে হত্যা করি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রাত সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোখলেছুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ এনে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউসার মিয়া এ হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।