পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চারদিকে চলছে কাজ। কেউ ঘষাঘষি করছেন, কেউ হোসপাইপে পানি ছেটাচ্ছেন, কেউ ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দিচ্ছেন, কেউ রয়েছেন তদারকিতে। আর মাত্র একটি প্রহর বাকি। এরপর শুরু হবে ভাষা শহীদদের সম্মানে শ্রদ্ধাঞ্জলি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা গেলো, একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ১ তারিখ থেকে কাজ শুরু হয়েছে। কাল শনিবার শেষ হবে। এসবের দায়িত্বে রয়েছেন তারেকসহ ৪০-৫০ জনের একটি গ্রুপ। তারেক নিজেও একজন রঙ মিস্ত্রি। একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মূল মিনার, বেদি, প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশের দেয়াল-রাস্তা পরিষ্কারের দায়িত্ব তাদের। তারেক বলেন, দেখে কম মনে হলেও পুরো শহীদ মিনারকে জাতির শ্রদ্ধার জন্য প্রস্তুত করতে ম্যালা কাজ করতে হয় আমাদের। সময় মতো শেষ করারও ব্যাপার আছে। গত আট বছর ধরে প্রতি বছরই শহীদ মিনার সাফ-সুতরো করার কাজে রয়েছেন তারেক। জানালেন, মূলত তিন ধাপে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটি সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে ১২-১৩ দিন পর্যন্ত ৩০ জন কাজ করে। এরপরের ধাপে আরও ১০ জন যোগ দেন এবং শেষের দুই-তিন দিন থাকেন মোট ৫০ জনের মতো। শেষের দিকে তো দিন-রাত মিলিয়ে কাজ হয়। তারা জানান, পরিষ্কার করার কাজের গ্রুপ, পাথরের কাজের লোক, রঙ, রাজমিস্ত্রি, পৃথক পৃথক টিম কাজ করছে। কাজের মধ্যে রয়েছে সীমানা প্রাচীর পরিষ্কার, পোস্টার উঠানো, পানি ও পাউডার দিয়ে পরিষ্কার, সড়ক পরিষ্কার, বাউন্ডারির গ্রিল রঙ, চারপাশে গাছের গোড়া রঙ করা, মার্বেল সংস্কার ও কেমিক্যাল দিয়ে পরিষ্কার, প্রধান মিনার পরিষ্কার, মিনারে পুটিং করা, মিনারে সাদা রঙ (ওয়েদার কোট) দেওয়া, মিনার গ্রিলে এনামেল (কালো) ব্যবহার, মূল বেদিতে গাঢ় লালসহ সব বেদিতে এনামেল দেয়া, আশেপাশের সাইনবোর্ড বা বিজ্ঞপ্তিগুলো পরিষ্কার অন্যতম কাজ। পরিচ্ছন্নতার কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা জানান, ভাষার জন্য যে রাস্তায় বুকের লাল রক্ত ঢেলে দেন শহীদরা, তাদের সে রঙে পুরো বেদি রাঙিয়ে যাবে। কাজে কোনো ত্রুটি নেই তাদের। সারাদেশ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে শহীদদের, এটি কী কম বড় কথা। তবে তারা আক্ষেপ নিয়ে বলেন, শুধু ফেব্রুয়ারি এলেই কেন তাদের ডাক পড়ে পরিষ্কারের জন্য। বাকি ১১ মাসও যদি টুকটাক করে পরিচ্ছন্নতার কাজ করে দেয়া যেত, তবে স্থানটির মূল্যায়ন বা পবিত্রতা আমরা সব সময়ই ধরে রাখতে পারতাম। শহীদ মিনারে দায়িত্ব পালনকারী লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল জানান, সময় মতো প্রস্তুত হয়ে যাবে শহীদ মিনার, কাজ তো হচ্ছেই। তখন হাজারো ফুলে ফুলে ভরে উঠবে বেদি- কোনো সমস্যা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।