পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘পাকিস্তান কনফেডারেশনের ষড়যন্ত্রে ছিলেন জিয়া’Ñ এই সংসদে ক্ষমতাসীন দলীয় নেতাদের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াকে নিশ্চিহ্ন করার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল হবে না। এতে মানুষ বিভ্রান্তও হবে না।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে প্রায় ৪০ জন শিশু বোধহয় হত্যা করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতোটা অবনতি ঘটেছে। বিরাজমান সমস্যা-সংকট থেকে জনগণের দৃষ্টি দূরে সরিয়ে রাখতে সরকারের লোকজন শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। গতকাল সকালে শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের মেয়ে মাহজাবিন খালেদ এমপি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তী কর্মকা- নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত বৃহস্পতিবার সংসদে বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনী আইএসআই-এর ‘চর’ হিসেবে তিনি (জিয়াউর রহমান) স্বাধীনতা সংগ্রামে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। সেনাবাহিনীর মধ্যে মেজর জিয়া ছিলেন পাকিস্তানিদের একনিষ্ঠ বিশ্বস্ত অনুচর।
বাংলাদেশে ক্ষমতা দখলের পর জিয়াউর রহমান দেশকে ‘পাকিস্তানে ফেরাতে চেয়েছিলেন’ অভিযোগ করে মাহজাবিন বলেন, ১৯৭৭ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়ে জিয়া পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
এসব অভিযোগ নাকচ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে- এই ধরনের কথা-বার্তা বলে তারা মানুষের মূল দাবি যেটা সমস্যা-সংকট তা থেকে জনগণের দৃষ্টি (ক্ষমতাসীনরা) দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক ছিলেন, তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, দীর্ঘ নয় মাস লড়াই করেছেন, বীরোত্তম উপাধি পেয়েছেন এবং পরবর্তীকালে এই আধুনিক বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থে স্থপতি তিনি ছিলেন। তিনিই গণতন্ত্রকে পুনরায় ফিরিয়ে এনেছেন। সেই মানুষকে যদি কেউ অন্যভাবে চিহ্নিত করতে চায়, সেটা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সেটাতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।
সকাল ১১টায় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল সদ্য কারামুক্ত ছাত্র দলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ সংগঠনের নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সকালে জিয়ার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। দলের শহীদ নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা এজমল হোসেন পাইলট, তারেক-উজ-জামান তারেক, ফয়সল আহমেদ সজল, মামুন বিল্লাহ, ইফতিখার রহমান কবির, আসাদুজ্জামান আসাদ, মিয়া মো. রাসেল, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের দমননীতির কারণে সমগ্র দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অনির্বাচিত এই সরকার গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলো যেমন কথা বলার অধিকার, সভা-সমাবেশ করার অধিকার তা ক্রমেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সভা করার জন্য অনুমতিও পাওয়া যায়নি।
১৯ মার্চ দলের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য জায়গার অনুমতি মেলেনি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কাউন্সিলের জন্য কয়েকটি জায়গার অনুমতি চেয়েছি। এখন পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে জায়গার বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া আমরা পাইনি। তারপরও আমরা প্রত্যাশা করছি, কাউন্সিলের জন্য জায়গা পাবো। আমরা আশা করবো সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তারা কাজ করবে।
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিনে আমি যতটুকু জানি প্রায় ৪০ জন শিশু বোধহয় হত্যা হয়েছে। কী নির্মম-নৃশংস। কোনো সভ্য সমাজে শিশুদের এভাবে হত্যা করা এটা প্রমাণ করে বাংলাদেশে আই্নশৃঙ্খলা কতটা অবনতি হয়েছে।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করছি, আমরা কাজও করছি এবং সঠিক সময়ের মধ্যেই আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। তারা নির্বাচনী মাঠে নামবে। যদিও নির্বাচনের অবস্থা সম্পর্কে আমরা আশাবাদী নই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।