পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পূর্বের ধারাবাহিকতায় এ বছরও সাফল্য ধরে রেখেছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক হাজার ছয় কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে ব্যাংকটি। ব্যাংকটির মুনাফা লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০০ কোটি টাকা অর্থাৎ মুনাফায় শতকরা ১১২ ভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে।
এ সাফল্যের কারণ সম্পর্কে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্যসচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকারের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরাও ২০১৬ সালের জন্য ১৩টি সূচকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণপূর্বক তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। আর এ জন্য প্রতিটি সূচক অর্জনের লক্ষ্যে পৃথকভাবে ব্যাংকের নির্বাহীদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পাশাপাশি কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে সময় বেঁধে দেয়া হয়। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়। সার্বিকভাবে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলে জনতা ব্যাংক অগ্রযাত্রার এ সাফল্য ধরে রেখেছে। ব্যাংকটির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সালাম বলেন, বোর্ড অব ডিরেক্টরসদের বলিষ্ঠ দিক-নির্দেশনা অনুসরণ, ঋণ আদায়ে মাঠ পর্যায়ে তদারকির মাত্রা বৃদ্ধি ও ভাল গ্রাহকদের দেখে ঋণ বিতরণের ফলে এ সাফল্য এসেছে। নিষ্ঠার সাথে কর্মসম্পাদন, পরিকল্পনা তৈরি এবং তা বাস্তবায়নে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ায় এ বছরও জনতা ব্যাংক সর্বোচ্চ মুনাফার সাফল্য ধরে রাখতে পেরেছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি জানান, ২০১৫ সালে ব্যাংকটির অনলাইন শাখার সংখ্যা ছিল ৫০৩টি। ২০১৬ সাল শেষে ব্যাংকের ৯১১টি শাখার মধ্যে ৭২১টি শাখা অনলাইন সুবিধায় চলে এসেছে। আগামী জুনের মধ্যে ব্যাংকটির সবগুলো শাখায় অনলাইন সুবিধা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আর এ সুবিধা চালু হলে ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বল্প সুদের আমানত এবং উন্নত গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধিসহ লোকসানী শাখার সংখ্যা আরও কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন। ব্যাংকিং খাতের বিশ্লেষকরা বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি সুযোগ্য হন তাহলে সেখানে কমবেশি সাফল্য আসবেই। তাদের মতে, জনতা ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি ভূমিকা রেখেছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের যোগ্য নেতৃত্বই ব্যাংকটিকে এভাবে ঊর্ধ্বমুখী সূচকের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সূত্রমতে, জনতা ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ, লোকসানী শাখার সংখ্যা, উচ্চ সুদবাহী আমানতের হারসহ কস্ট অব ফান্ড পূর্বের চেয়ে কমেছে এবং পরিচালন মুনাফাসহ নিট মুনাফা, মূলধন পর্যাপ্ততার হার, শ্রেণীকৃত ও অবলোপিত ঋণের বিপরীতে নগদ আদায়ের হার, ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে দায়েরকৃত মামলা নিষ্পত্তি, অটোমেশনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সূচকসমূহ ও ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা যোগ্য নেতৃত্বের সুস্পষ্ট উদাহরণ। জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন নির্বাহী জানান, এসএমই ঋণ বাড়ানোর জন্য পরিচালনা পরিষদের নির্দেশের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণপূর্বক একটি রূপরেখা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়া সময়ভিত্তিক কর্মপন্থা এবং শ্রেণীকৃত ঋণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজেও শীর্ষ ঋণ খেলাপিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।