পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : লাখ লাখ অভিবাসীকে শিশু অবস্থায় আমেরিকায় আনা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে তারা বিতাড়নের সম্মুখীন হতে পারে। মেয়াদের শেষ সপ্তাহগুলোতে এসে তাদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য কিছু করতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চাপের সম্মুখীন হয়েছেন। তবে তার করার সুযোগ আছে সামান্যই। খবর এপি।
কমপক্ষে ৫০ জন কংগ্রেসনাল ডেমোক্র্যাট নজিরবিহীন না হলেও তরুণ অভিবাসীদের ক্ষমা করার এ বিরল পদক্ষেপ নিতে ওবামাকে চাপ দিচ্ছেন যারা বিতাড়িত হওয়া থেকে নিরাপদ থাকার বিনিময়ে নিজেদের চিহ্নিত করার জন্য এগিয়ে আসার অঙ্গীকার করেছে। তবে হোয়াইট হাউজ বারবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের আগে কয়েকজন রিপাবলিকান আইন প্রণেতা কখনো কখনো স্বপ্নচারী বলে আখ্যায়িত এসব অভিবাসীর স্থান সংহত করতে আইনি প্রস্তাব প্রণয়ন করছেন। কংগ্রেসের দু’কক্ষে ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও এ ধরনের প্রস্তাব বারবার ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং আইন প্রণয়নের চেষ্টায় যে সুফল হবে সে সম্ভাবনা ক্ষীণ। পরবর্তীতে কী ঘটে তার অপেক্ষায় রয়েছে সাত লাখ ৪১ হাজার অভিবাসী। শিশু বয়সে আমেরিকায় আসা অভিবাসীদের জন্য ওবামার বিলম্বিত পদক্ষেপ সম্পর্কে ট্রাম্পের পরিকল্পনা এখনো অস্পষ্ট। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থাকাকালে তিনি তাদের প্রতি বেআইনি নির্বাহী ক্ষমার তাৎক্ষণিক অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তার অবস্থান নমনীয় করেন।
ট্রাম্প গতমাসে টাইম ম্যাগাজিনকে বলেন, আমরা এমন কিছু করতে চাইছি, যা তাদের খুশি ও গর্বিত করবে। একেবারে শিশু বয়সে তাদের এখানে আনা হয়েছে , তারা এখানে কাজ করেছে, তারা এখানে স্কুলে গেছে। তাদের কেউ কেউ ভালো ছাত্র। কেউ কেউ চমৎকার চাকরি করে এবং তারা রয়েছে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে যেহেতু তারা জানে না কি ঘটতে যাচ্ছে।
ওবামার কর্মসূচিতে শিশু বেলায় যুক্তরাষ্ট্রে আসা তরুণ অভিবাসীদের তারা বিতাড়ন থেকে নিরাপদ থাকা এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারার বিনিময়ে এগিয়ে আসতে ও ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের মধ্যে যেতে হবে। তাদেরকে এ কর্মসূচি ও ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রতি দু’বছর পর পর আবেদন করতে হবে।
যদিও অনুমোদিত অভিবাসীরা বিতাড়নের সম্মুখীন হবে না বলে সরকার অঙ্গীকার করেছে, এ কর্মসূচির অর্থ এ নয় যে তাদের বৈধ অভিবাসীর মর্যাদা দেয়া হবে। ট্রাম্পের সময়ে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং তাদের কিছু আত্মীয়দেরও, তাৎক্ষণিকভাবে অভিবাসন কর্মকর্তাদেরকে প্রদান করা হবে।
২০১২ সালে ওবামা যখন এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস এ ব্যাপারে সাড়া না দেয়ায় তিনি নির্বাহী ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি তখন আরো বলেছিলেন, এটা ক্ষমা নয়, অব্যাহতিও নয়। তিনি এ কর্মসূচিকে অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে আখ্যায়িত করেন যা তরুণ অভিবাসীদের বিতাড়ণ থেকে বাঁচাবে। অন্য দিকে তার অভিবাসন সংস্থাগুলো অপরাধী অভিবাসী এবং যারা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি তাদের আইনের আওতায় আনার দিকে দৃষ্টি দেবে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট তখন স্পষ্ট করেছিল যে, ভবিষ্যত প্রশাসন এ কর্মসূচি থেকে সরে যেতে পারবে। ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতাদের ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাব গতি লাভ করেনি।
ওবামার শীর্ষ অভিবাসন উপদেষ্টা সিসিলিয়া মুনোজ অভিবাসন গবেষণা কেন্দ্রকে বলেন, চূড়ান্তপর্যায়ে একটি লোককেও বিতাড়ণ থেকে বাঁচাতে পারবে না, সুতরাং এটা এখানে কোনো জবাব নয়। আমি জানি, মানুষ একটি জবাবের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু কথা হচ্ছে যে এ পথে নির্বাহী কর্তৃত্বের ব্যবহার নির্বাহীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে শিগগিরই যার অধিকারী হচ্ছেন ট্রাম্প।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।