পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গত শনিবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনসহ স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মোট ১২ জন সংসদ সদস্য দুর্বৃত্তদের হামলায় নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে ৮ জন সংসদ সদস্য। সর্বশেষ নির্মম হত্যাকান্ড ২০১৬ সালের শেষ দিনে। নিহতরা সকলেই আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি। এছাড়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতও সেই কালো রাতে হত্যাকান্ডের শিকার হন। সরকারদলীয় কোনো এমপি প্রথম হত্যাকান্ডের শিকার হন ১৯৭২ সালের ৬ জুন। তিনি হলেন আব্দুর গফুর। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে খুলনা থেকে তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
১৯৭৩ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ত্রাসীরা সওগাতুল আলম সহুর এমপিকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি বরিশালের মঠবাড়িয়া থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমান শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থেকে নির্বাচিত নুরুল হককে হত্যা করা হয় ১৯৭৩ সালের ৩ মে। ভোলা থেকে নির্বাচিত মোতাহার উদ্দীন আহমেদকে হত্যা করা হয় ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি। নরসিংদীর মনোহরদী থেকে নির্বাচিত ফজলুর রহমানকে হত্যা করা হয় ১৯৭৪ সালের ১৬ মার্চ। ময়মনসিংহের একটি আসন থেকে নির্বাচিত এ্যাডভোকেট ইমান আলীকে হত্যা করা হয় ১৯৭৪ সালের ১ আগস্ট। ১৯৭৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া কুমারখালী আসন থেকে নির্বাচিত গোলাম কিবরিয়াকে ঈদের জামায়াতে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার এমপি আব্দুল খালেককে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ হত্যার শিকার হলেন বিদায়ী বছরের শেষ দিন গত শনিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধাতে। জেলার সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে তার নিজ বাসভবনে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এছাড়া ২০০৪ সালে গাজীপুর টঙ্গীতে নিজ বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আহসানউল্লাহ মাস্টারকে। সে সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া এমপিকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যা করা হয়। হবিগঞ্জ জেলার নিজ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সভায় কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।