Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১০ হাজার নিরাপত্তা সদস্যের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপিত

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীতে গড়ে তোলা হয় নিরাপত্তা বলয়। প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি নগরীজুড়ে বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যদের সমন্বয়ে নিñিদ্র নিরাপত্তা ছিলো। গতকাল বিকেল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও বিভিন্ন যাত্রীদের লাগেজ ব্যাগেজ তল্লাশি করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এবার র‌্যাবের চেক পোস্টে ছিলো ডগ স্কোয়াড। এবারই  খোলা স্থানে থার্টিফার্স্ট উদযাপন অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর ছিলো  বড় হোটেল, আবাসিক এলাকা ও কূটনৈতিক পাড়ায়। এজন্য বেশ কিছু এলাকায় গতকাল সন্ধ্যা থেকেই যান ও মানুষজন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জনসমাগমের নামে রাজধানীর কোথাও যেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না হতে পারে সে সব বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগের পক্ষ থেকে বাড়তি প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া থার্টিফার্স্ট-এর আয়োজনে রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডিএমপির রমনা ও গুলশান বিভাগও আলাদা আলাদাভাবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাজধানীর সব মদের দোকান বন্ধ করে দেয়। রাত ৮টা থেকে আজ ভোর পর্যন্ত আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন না করার নির্দেশনা দেয় পুলিশ।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, থার্টিফার্স্ট একটা মেগা ইভেন্ট, আর এ ধরনের ইভেন্ট নতুন কোন অভিজ্ঞতা না। যে স্থানগুলোতে জনসমাগম হবে সে স্থানগুলো চিহ্নিত করে ডিএমপির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান বনানী এলাকাগুলোতেই জনসমাগম বেশি হয়। এসব এলাকায় সন্ধ্যা থেকে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে মোট ১০ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করে।
র‌্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে বড় বড় হোটেল, আবাসিক এলাকা, কূটনৈতিক পাড়া ও এর আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়। গতকাল বিকেল থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট র‌্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্যরা নগরীজুড়ে টহল দেয়। চেকপোস্টগুলোতে এবার র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ছিলো।
এর আগে থার্টিফার্স্ট নাইটে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত হবার কোন কারণ নেই বলে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন ডিএমপি কমিশনার মো.আছাদুজ্জামান মিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ