পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে আইন করেছিলেন। সেই আইনের উপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্রসীমায় অধিকার অর্জনের কাজ শুরু করেন। সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সরকার ছাড়া আর কোনো সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) -এর সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সুনীল অর্থনীতিতে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ : গবেষণা অর্জন ও সম্ভাবনা শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা জানান। শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেরা কূটনৈতিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ আয়তনের সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করেছি। সে সমুদ্রসীমায় সম্পদ আহরণ ও তার গুণগত ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এ বিষয় নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা কাজ করছে। সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে বিএফআরআই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গবেষণায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিচ্ছে, সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। দেশের সর্বত্র গবেষণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে মৎস্যসম্পদে আমূল পরিবর্তন এসেছে। মৎস্য উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করা সম্ভব হয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত ও পৃষ্ঠপোষকতায় এটা সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৫২টি দেশে আমাদের মৎস্য রপ্তানি হয়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। মৎস্য রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা ক্রমান্বয়ে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাত সমন্বিতভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাক। বেসরকারি খাতকে সহায়তা করার জন্য সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মৎস্য খাতে বিএফআরআইয়ের গবেষণা সাফল্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নতুন নতুন কার্যক্রম সংযোজন করছে। সমুদ্রে মাছের মজুত নিরূপণে গবেষণা জাহাজ আরভি মীন সন্ধানী জরিপ পরিচালনা করছে। প্রচলিত ও অপ্রচলিত সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে বিএফআরআই গবেষণা অব্যাহত রেখেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এহসানুল করিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।