Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খায়রুল হককে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে : মওদুদ

প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, অবসরে যাওয়ার পরে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক আগের রায় বাদ দিয়ে নতুন রায় প্রকাশ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য শুধু নিজের বিবেককেই নয়, সারা জাতিকে প্রতারিত করেছেন। এই গুরুতর অপরাধের জন্য অবশ্যই তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
প্রধান আলোচক হিসেবে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ১৬ মাস পর দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের আদেশে বিচারপতির আগেরকার ঘোষণার অংশটি সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়েছেন। এ রায়ের মাধ্যমে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক শুধু সংবিধানই লঙ্ঘন করেন নাই, তিনি বিচারপতি হয়ে একটি চরম অনৈতিকতার পরিচয় দিয়েছেন। একটি হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য শুধু নিজের বিবেককেই নয়, সারা জাতিকে প্রতারিত করেছেন। একদিন বাংলাদেশের মাটিতে এই গুরুতর অপরাধের জন্য অবশ্যই তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
তিনি বলেন, একজন প্রধান বিচারপতি কীভাবে তার নিজের ঘোষিত রায়ের পরিবর্তন করে দিতে পারেন। ২০১১ সালের ১০ মে ওপেন কোর্টের রায়ের শর্ট অর্ডারে তিনি বলেছিলেন যে পরবর্তী দশম ও একাদশ সংসদের নির্বাচন জাতীয় স্বার্থে এবং জনগণের কল্যাণের জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনীতে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
‘এই সংক্ষিপ্ত রায় দেওয়ার সাত দিনের মাথায় ২০১১ সালের ১৭ মে বিচারপতি খায়রুল হক অবসরে চলে যান। এবং অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পর ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করেন।
ত্রয়োদশ সংশোধনী সর্ম্পকে মওদুদআহম্মদ বলেন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনীর ওপর যে রায় দেন তাতে সুপ্রিম কোর্টের সাতজন বিচারপতির মধ্যে তিনজন বিচারপতি একমত হননি। আটজন সিনিয়র আইনজীবীর মতামত নিয়েছেন তার মধ্যে সাতজনই নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার পক্ষে রায় দেন।
আমি কথা বলা ছেড়ে দিয়েছি, কে শুনবে আমার কথা। আর কথা বললে আরও দু-চারটা মামলা  দেবে Ñ এ অভিযোগ করে তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে ঐক্য অটুট রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে যেন কোনো বিভেদের সুর না হয়। ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা বেশি কিছু চাই না। আমাদের চাওয়া সীমিত। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এবং এ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, পৃথিবীতে কোথাও অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখার বিধান নেই।
তিনি বলেন, সারাদেশে আইনের শাসন নেই। শাসকদলের লোকেরা গুম-খুন করে যাচ্ছে। শিশু হত্যা করা হচ্ছে। শিশুদের গুম করে চাঁদা আদায় করছে। প্রশাসন এখন বলছে সরকারকে আমরাই ক্ষমতায় এনেছি এবং টিকিয়ে রেখেছি। পুলিশ বলছে আমরা দেশের রাজা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খায়রুল হককে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে : মওদুদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ