পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ অভিযোগ করেছেন, দেশের অনেক মানুষের বিশ্বাস, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান ছিল ‘প্রোজেকশন মিটিং’। তিনি বলেন, যে ব্যক্তিকে (ড. ইউনূস) কেন্দ্র করে ১/১১’র ষড়যন্ত্র হয়েছিল তাকে দিয়েই এ প্রোজেকশন মিটিং করা হয়েছে। তাই এখন দেশের সচেতন মানুষ মনে করে, তাদের ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয়নি। ষড়যন্ত্র চক্রান্ত এখনও চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানম-ি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। দলের সম্পাদকম-লীর এক অনির্ধারিত বৈঠক শেষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, কয়েক কোটি টাকা খরচ করে গত কয়েকদিন আগে ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে প্র্রায় দশ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিদেশ থেকে অনেক ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ করে আনা হয়েছে। এ উদযাপন কি শুধু প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে, প্রশ্ন করেন তিনি।
একমাত্র বাংলাদেশী নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের উপস্থিতিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, সেদিনের অনুষ্ঠানে দেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রায় দুই ঘণ্টা বক্তব্য রেখেছিলেন। এতে দেশের অনেক মানুষ বিশ্বাস করে, এ অনুষ্ঠান ছিল ‘প্রোজেকশন মিটিং’। যে ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে ১/১১ ষড়যন্ত্র হয়েছিল তাকে দিয়েই এ প্রোজেকশন মিটিং করা হলো। তাই এখন দেশের সচেতন মানুষ মনে করে তাদের ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয়নি। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এখনও চলছে।
তিনি বলেন, মাহফুজ আনাম সাহেব দেশের একটি স্বনামধন্য পত্রিকার সম্পাদক। উনি নিজেই স্বীকার করেছেন, ১/১১ সময় যাচাই-বাছাই না করে কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন, এ রিপোর্ট প্রকাশ ভুল ছিল। সে সময় তিনি কেন এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
হানিফ বলেন, ১/১১’র শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বাদ দেয়ার জন্যই এ মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আর এ খবর চাপানোর কারণেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিানাকে ১১ মাস কারা নির্যাতিত হতে হয়েছিল। জনগণের কাছে হেয়প্রতিপন্ন এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এ রিপোর্ট চাপিয়ে ছোট্ট ভুল হয়েছিল তা নয়, এটা ভুল করে চাপানো রিপোর্ট নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্যই নীলনকশা হয়েছিল।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে মাহফুজ আনাম একজন জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান মানুষ। তিনি ভুল করে এমন রিপোর্ট প্রকাশ করবেন তা দেশের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তিনি এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তা দেশের সকল মানুষই বিশ্বাস করে।
হানিফ বলেন, ১/১১ সময় যারা দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, গণতন্ত্রকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে দেশের জনগণ আইনের আশ্রয় নিতেই পারে। কেউ এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবেই দেখবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমরা কিন্তু বারবার বলেছি, মাহফুজ আনাম ভুল স্বীকার করেছেন। কিন্তু এটা কোন ভুল নয়, ষড়যন্ত্রের অংশ। ওনি শুধু ভুল স্বীকার করে দায়মুক্ত হতে পারবেন না। উনাকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি নিছক ভুল হিসেবে কাজ করেছেন নাকি ষড়যন্ত্র হিসেবে কাজ করেছেন। জনগণ ১/১১ এর সময়ে ওনার ভূমিকা জানতে চায়। সে জানার জন্য যদি কেউ আদালতের দ্বারস্থ হন সে ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই।
সরকারে একজন মন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টিআকর্ষণ করা হলে হানিফ বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, কেউ যদি ভুল স্বীকার করে তাহলে জনগণ সেটা চিন্তা করবে। কিন্তু মাহফুজ আনাম কোনো ভুল করেননি, এটা ছিল ষড়যন্ত্র। যেটা সুপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছিল। এ মিথ্যা রিপোর্টের কারণে জনগণের নেত্রীকে ১১ মাস কারাবরণ করতে হয়েছিল তার প্রতি তিনি (মাহফুজ আনাম) দায় প্রকাশ করেছেন। শুধু ভুল স্বীকারের জন্য তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে যাবেন, আবার ধন্যবাদ পাবেন।
হানিফ বলেন, যাদের চাপে তিনি এ রিপোর্ট প্রকাশে বাধ্য হয়েছিলেন বলে তিনি বলছেন, তাদের নাম তো তিনি প্রকাশ করেন নাই। চাপ দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের জন্য তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। তিনি কেন আইনের আশ্রয় নেননি? তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার দায়িত্ব তার, সেটা অন্য কারও হতে পারে না।
অর্থের বিনিময়ে বিএনপি সমর্থক ও রাজাকারের পুত্রকে আ’লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, আ’লীগের তৃণমূল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আ’লীগ একটি পুরানো রাজনৈতিক দল। এখানে যোগ্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভাব নেই। তাই আমাদের প্রয়োজন নেই অন্য দল থেকে হায়ার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেয়ার।
তিনি বলেন, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫০৩টি ইউনিয়নের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি ২৩৬টির তালিকা আজকের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আর এ মনোনয়নপত্র আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হবে।
এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বীর বাহাদুর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ডাব্লিউ, তথ্য সম্পাদক আফজাল হোসেন, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবদুস ছাত্তার, সদস্য এনামুল হক শামীম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।