Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৯৫ পাক সেনার প্রতীকী বিচারে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার আপত্তি

প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ১৯৫ পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার প্রতীকী বিচার করার ওপর আপত্তি তুলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি আদালত বিদ্যমান থাকা অবস্থায় অন্য কোনো আদালত হতে পারে না। সেটা প্রতীকী হোক আর যা-ই হোক। এটা সঠিক হবে না।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গত বছরের ডিসেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আদালতে’ ওই ১৯৫ জনের প্রতীকী বিচারের ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হান্নান খান বলেন, এটা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য হতে পারে, কিন্তু বিচার হতে পারে না। ১৯৯২ সালের গণআদালতে বর্তমান ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ও দ-প্রাপ্ত অনেকেরই বিচার শুরু হয়েছিল Ñ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান বলেন, তখন (রাষ্ট্রের উদ্যোগে) কোনো আদালত কিংবা ট্রাইব্যুনাল ছিল না।
হান্নান খান বলেন, সেই ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে ইতোমধ্যে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। আমরা তথ্য-উপাত্ত নেওয়া শুরু করেছি। সাড়াও পাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সরকারও চিঠি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯৫ জন সেনা কর্মকর্তার কথা বলা হলেও আত্মসমর্পণের পর তাদের প্রথমে ভারতীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এর পরেও অনেকেই পাকিস্তানে বদলি হয়ে গিয়েছিলেন। সুতরাং ওই সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
ময়মনসিংহের দুজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রিয়াজ উদ্দিন ফকির এবং ওয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এ দুই আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের পাঁচটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হচ্ছে। এই মামলার আসামিদের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন গ্রেপ্তার হলেও ওয়াজ উদ্দিন পলাতক। তদন্ত সংস্থা জানায়, একাত্তরে রিয়াজ ছিলেন আলবদর সদস্য, আর ওয়াজ ছিলেন রাজাকার। এ মামলার আরেক আসামি আমজাদ আলী গ্রেপ্তারের পর গেছেন। তিন আসামির সবাই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। পাঁচ খ-ে ৩০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ, দলিল ও নথিপত্র যুক্ত করা হয়েছে বলে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক জানান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ১৯৫ পাক সেনার প্রতীকী বিচারে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার আপত্তি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ