Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গারো পাহড়ের বিলাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত

এস. কে. সাত্তার.ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

শেরপুরের জেলার গারো পাহাড় ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর বিলাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে এখন মুখরিত। বিলে উঁকি দিচ্ছে বক, মাছরাঙা, সারশ, পানকৌড়িসহ নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি শত শত পাখি। কখনো মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে পাল বেঁধে। কখনে বা মাছ শিকারে ওত পেতে থাকছে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাখির আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। প্রতি বছর শীতের শুরুতেই দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পাখি আসে আশ্রয় ও খাদ্যের সন্ধানে। জেলার গরো পাহাড়ি উপজেলা ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর বিলাঞ্চল এখন পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

স্থানীয়রা জানায়, এক শ্রেণীর শিকারীরা পাখি শিকারও করছে। যেখানেই কচুরিপানা পাচ্ছে সেখানেই আশ্রয় গড়ে তুলেছে পাখি। দিনভর বিলের বিভিন্ন প্রান্তে শামুক ও মাছ শিকার করে খাচ্ছে। পাখির কলকাকলিতে মুখর পুরো বিলাঞ্চল। চারদিকে ডানা মেলে ওড়াউড়ি ও কিচিরমিচির শব্দ মন কেড়ে নেয় পাখি প্রেমীদের। হাজারো পাখির কিচিরমিচির শব্দে সুষ্টি হয় মণকাড়া নান্দনিক পরিবেশ। বিলে পাখি দেখতে আসা মানুষ বেজায় খুশি।

ধলিবিল সংলগ্ন সারিকালিনগর গ্রামের আলহাজ, শরীফ উদ্দিন সরকার, প্রতাব নগর গ্রামের ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ. রেজায়ুর রহমান মাস্টার ও শালচুড়া গ্রামের সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, বিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত পাখি উড়ে বেড়ায়। দেখলে মণ জুড়িয়ে যায়। কচুড়ি পানার ফাঁকে ফাঁকে শত শত পাখি বসে থাকে। সারা দিন বিল ঘুরে কীটপতঙ্গ ও মাছ খায়। তাই বিলে পাখি দেখতে আসে পাখিপ্রেমীরা। শিকারীরা বাঁধার কারণে পাখি শিকার করতে পারে না। তারপরও পালিয়ে কিছু কিছু পাখি শিকার করে শিকারীরা। ফলে পাখি অনেকাংশেই নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করতে বাঁধাপ্রাপ্ত ও হয়। বিলে অতিথি ও দেশি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থ সৃষ্টি হলে আরো বেশী পাখি আসবে। তার পরও মানুষ এখন সচেতন তারা পাখি শিকারে বাধা দেয়।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, বিলে কেউ যাতে পাখি শিকার না করতে পারে সেজন্য সব সময় সচেতন রয়েছে প্রশাসন। শিকারীদের পেলে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন শীত প্রধান দেশে যখন শীতের তীব্রতা বাড়ে এবং বরফে ঢেকে যায়, তখন পরিযায়ী পাখি অন্যদেশে থেকে খাদ্য ও আশ্রয়ের সন্ধানে আমাদের দেশে আসে। আবার গ্রীষ্মে ফিরে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গারো পাহড়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ