দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
তাকওয়া একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো বেঁচে থাকা; সতর্ক থাকা; নিবৃত্ত থাকা; খোদাভীতি অবলম্বন করা। আর পরিভাষায় তাকওয়া বলা হয়, আল্লাহ তাআলার আদেশকৃত কর্মসমূহ পালন করা এবং নিষেধকৃত কাজসমূহ বর্জন করা। অন্য কথায়, মহান আল্লাহর আজাবের ভয়ে তার আদেশকৃত কাজ সম্পাদন করা এবং নিষেধকৃত কর্ম বর্জন করার নাম তাকওয়া। আল্লামা ইবনে কাসিরের মতে তাকওয়ার মূল অর্থ হলো যেসব কাজ মহান আল্লাহ অপছন্দ করেন সেগুলো এড়িয়ে চলা। হজরত উমর ইবনু খাত্তাব (রা.) হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.) কে তাকওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জবাবে বললেন, 'আপনি কখনো এমন পথে হেঁটেছেন যেখানে কাঁটা বিছানো রয়েছে?' হজরত উমর বললেন, হাঁ। উবাই জিজ্ঞাসা করলেন, 'তখন আপনি কী করেছেন?' এর উত্তরে হজরত উমর (রা.) বললেন, আমি অনেক সতর্কতার সঙ্গে পথ চলেছি যাতে কাঁটা থেকে নিরাপদে থাকা যায়।' উবাই বলেন, 'সতর্কতার সঙ্গে পাপ পঙ্কিলতাকে এভাবে এড়িয়ে চলার নামই তাকওয়া!'
তাকওয়া অবলম্বনকারীদের সুখ: যেসব লোক তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা অফুরন্ত সুখ শান্তি ও ভোগ-বিলাসের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। পরকালে এমন লোকদের কোন ভয়-ভীতি, দুশ্চিন্তা-বিষণ্নতা, ব্যথা-বেদনা ও কষ্ট-ক্লেশ থাকবে না। কোন অভাব-অনটন, বালা-মুসিবত ও আপদ-বিপদ তাদেরকে স্পর্শ করবে না। তারা সব সময় স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-যাপন করবে। তাদের সেবায় চির-কিশোর ও হুর গিলমানরা সব সময় নিয়োজিত থাকবে। পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় খোদাভীরুদের জন্য সুখ-শান্তির প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, 'খোদাভীরুদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার অবস্থা নিম্নরূপ, তাতে আছে পানির নহর, নির্মল দুধের নহর যার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু শরাবের নহর এবং পরিশোধিত মধুর নহর। তথায় তাদের জন্যে রয়েছে রকমারি ফল-মূল ও তাদের পালনকর্তার ক্ষমা। খোদাভীরুরা কি তাদের সমান, যারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে এবং যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি অতঃপর তা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে?' (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ১৫) তাকওয়া অবলম্বনকারী খোদাভীরু লোকদের আরাম-আয়েশ ও ভোগ বিলাসের বিবরণ দিয়ে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের অন্যত্র আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, 'নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে। তারা উপভোগ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদের দেবেন এবং তিনি জাহান্নামের আজাব থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা করতে তার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্ত হয়ে পানাহার কর। তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করিয়ে দেব। যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী। আমি তাদেরকে দেব ফল-মূল এবং মাংস যা তারা চাইবে। সেখানে তারা একে অপরকে পানপাত্র দেবে; যাতে অসার বকাবকি নেই এবং পাপকর্মও নেই। সুরক্ষিত মোতিসদৃশ কিশোররা তাদের সেবায় ঘুরাফেরা করবে। তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।' (সুরা তুর, আয়াত : ১৭-২৫)
প্রতিদান প্রাপ্তি: পৃথিবীর নিয়ম হলো কোন চাকর, চাকরানী বা গোলাম যদি তার মনিবের আদেশ-নিষেধগুলো বাস্তবায়ন করে, তাহলে মনিবের পক্ষ থেকে তাকে মজুরি, পারিশ্রমিক ও প্রতিদান প্রদান করা হয়। ঠিক তেমনিভাবে আল্লাহ তাআলার আদেশ নিষেধগুলো পরিপালন করে তাকওয়া অবলম্বন করলে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকেও প্রতিদান পাওয়া যাবে। আল্লাহ তাআলা তাঁর আদেশকৃত কর্মগুলো নিষ্পন্ন করলে এবং নিষেধকৃত কাজসমূহ বর্জন করলে বান্দাকে এর পূর্ণাঙ্গ প্রতিদান প্রদান করবেন। আর যে সত্তা যত বেশি বিত্তশালী ও বড় তার দানও তত বিশাল ও বিরাটকায়। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডলের অধিপতি। তিনিই যেহেতু তাকওয়ার প্রতিদান প্রদান করবেন তাই তাকওয়া অবলম্বনের সুফল, পুরস্কার ও প্রাপ্তিও হবে নিতান্ত বড় ও বিশাল! মহান আল্লাহ বলেন, 'যদি তারা ঈমান আনত এবং খোদাভীরু হত, তবে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পেত। যদি তারা জানত।' (সুরা বাকারা, আয়াত : ১০৩)
আল্লাহর সঙ্গলাভ: যার সঙ্গে যত ক্ষমতাধর সত্তা থাকে তার তত ক্ষমতা ও নির্ভরতা থাকে। তার দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা তত পরিমাণে কম থাকে। এমন লোকের কোন অভাব অনটন থাকে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই বিশ্বচরাচরের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। তিনি যদি কোন ব্যক্তির সঙ্গে থাকেন, তাহলে তার কোনো ভয়, শঙ্কা, দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক থাকার কথা নয়। ইহ ও পরকালে এমন ব্যক্তি নিরাপদ থাকবে। যেসব লোক তাকওয়া অবলম্বন করে আল্লাহর ভয়ে হারাম কাজগুলো বর্জন করে এবং হালাল কর্মাবলি সম্পাদন করে আল্লাহ তাআলা এমন লোকদের সঙ্গে থাকবেন। তাকওয়া অবলম্বনকারী খোদাভীরু লোকদের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, 'আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা তাকওয়া অবলম্বনকারী আল্লাহ তাদের সঙ্গে রয়েছেন।' (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৪)
তাকওয়ায় সিদ্ধি লাভ: এই পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যে সাফল্য অর্জন করতে প্রয়াস চালায় না কিংবা সিদ্ধিলাভ করতে আগ্রহী হয় না। প্রতিটি ব্যক্তির দৌড়ঝাঁপ আপন আপন লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সিদ্ধিলাভকে কেন্দ্র করে। আর এই সিদ্ধিলাভের অন্যতম উপায় হলো আল্লাহর ভয় বা তাকওয়া অবলম্বন। যেসব লোক আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের উদ্দেশ্য সাধিত হবে। এমনসব লোক ইহ ও পরকালে সফল হবেন মর্মে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন, 'হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক; যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার।' (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২০০) অন্য একটি আয়াতে সিদ্ধিলাভ ও সাফল্য অর্জন করার উপায় হিসাবে তাকওয়া অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, 'হে বুদ্ধিমানগণ, আল্লাহকে ভয় কর-যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।' (সুরা মায়েদা, আয়াত : ১০০)
অফুরন্ত নেয়ামতলাভ: আসমান ও জমিনে রয়েছে বিপুল ধনভাণ্ডার। সুবিশাল আকাশ ও বিস্তীর্ণ পৃথিবীতে ধন-সম্পদের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আল্লাহর ভাণ্ডারে কোন অভাব নেই। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে এত অধিক পরিমাণ নেয়ামত রয়েছে যে, সেগুলো গণনা করে শেষ করা যাবে না। পৃথিবী ও অন্তরীক্ষে নেয়ামতের সংখ্যা অসংখ্য-অগণিত। যেসব লোক তাকওয়া অবলম্বন করবে তাদের জন্য আসমান ও জমিনের এই অফুরন্ত ভাণ্ডার খুলে দেবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, 'আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানি ও পার্থিব নেয়ামতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের কৃতকর্মের ফলে।' (সুরা আরাফ, আয়াত : ৯৬) অধিকাংশ মানুষ রিজিককে সবচেয়ে বড় নেয়ামত মনে করে। এই রিজিকের অভাব দূর করার শ্রেষ্ঠতম উপায় হলো আল্লাহর ভয় ও তাকওয়া অবলম্বন করা। আল্লাহ তাআলা তাকওয়া অবলম্বন কারীদেরকে অকল্পনীয় জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আল কুরআনে বলেছেন, 'আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।' (সুরা তালাক, আয়াত : ২-৩)
বেহেশতে রমণী লাভ: ক্ষণিকের দুনিয়ায় যারা পাপাচার বর্জন করে তাকওয়া অবলম্বন করে এমন খোদাভীরুদের মনোরঞ্জনের জন্য মহান আল্লাহ বেহেশতে সমবয়স্কা পূর্ণযৌবনা রমণী নির্ধারণ করে রেখেছেন। এসব রমণীর সঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পরহেজগার লোকদের বিয়ে করিয়ে দেবেন। তাকওয়া অবলম্বনকারী লোকদের ভোগ-সম্ভোগের জন্য সৃষ্ট এসব রমণী খোদাভীরুদের মনোরঞ্জনে সদা নিয়োজিত থাকবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, 'পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য। উদ্যান, আঙ্গুর, সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী। এবং পূর্ণ পানপাত্র। তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না। এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান।' (সুরা নাবা, আয়াত : ৩১-৩৬) পূত পবিত্র সঙ্গিনী পাওয়ার ব্যাপারে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের অন্যত্র আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, 'বলুন, আমি কি তোমাদেরকে এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান বলবো?-যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে রয়েছে বেহেশত, যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত-তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আর রয়েছে পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন।' (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৫) উল্লেখ্য, জান্নাতে কারো মনোবাঞ্ছা অপূর্ণ থাকবে না। নারীদের আনন্দ বিনোদনের জন্যও সেখানে আনন্দ-বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন, 'ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে তোমরা দাবী কর।' (সুরা মুমিন, আয়াত : ৩১)
জান্নাতের ফটকে স্বাগতম: এই পৃথিবী খোদাভীরু, আল্লাহওয়ালা ও পরহেজগার লোকদের মান, মর্যাদা ও সম্মান কিছুটা কম দিলেও, প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গ নেককার লোকদের কে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখলেও মহান আল্লাহর কাছে এমন লোকদের অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে। আল-কুরআনে আল্লাহ তাআলা খোদাভীরু লোকদের ব্যাপারে বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলার কাছে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হলো পরহেজগারগণ। আল্লাহর ভয়ে পাপাচার বর্জনকারী লোকদের সম্মান জানিয়ে জান্নাতের ফটকে তাদেরকে সাদর সম্ভাষণ জানানো হবে। খোদাভীরু লোকদেরকে স্বাগতম জানিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। এ মর্মে পবিত্র কুরআন শরিফে এসেছে, 'যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা উন্মুক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে পৌঁছবে এবং জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা সুখে থাক, অতঃপর সদাসর্বদা বসবাসের জন্যে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর।' (সুরা জুমার, আয়াত : ৭৩)
ক্ষমা প্রাপ্তি: হজরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত যত মানুষ এই পৃথিবীতে আগমন করেছে নবি-রাসুলগণ ছাড়া তাদের সকলেই পাপী। এমন কোনো মানুষ নেই যে অন্যায়-অনাচার, দুর্নীতি ও কদাচারে কমবেশি লিপ্ত নয়। পাপ মানুষের দেহের ময়লা ও আবর্জনার মত। পাপ ও পঙ্কিলতার আবর্জনা হতে মুক্ত হওয়ার বিকল্প নেই। সর্বপ্রকার অন্যায় অনাচারের কলুষতা হতে মুক্ত ও পবিত্র হওয়া ছাড়া মানুষের গত্যন্তর নেই। অন্যায় অপরাধের কলঙ্ক ও কালিমা হতে মুক্ত হওয়ার অন্যতম উপায় হল তাকওয়া অবলম্বন করা। যেসব লোক তাকওয়া, আল্লাহর ভয় ও খোদাভীতি অবলম্বন করবে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। পবিত্র কুরআনে এসেছে, 'হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের থেকে তোমাদের পাপকে সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান।' (সুরা আনফাল, আয়াত : ২৯)
পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী জীবন একদিন শেষ হয়েই যাবে। পার্থিব জীবন শেষ হওয়ার পর আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে অনন্তকালের এক জীবন। তাই আসুন! ক্ষণিকের এই জীবনে অন্যায়, অনাচার ও পাপাচার বর্জন করে তাকওয়া অবলম্বন করার মাধ্যমে এর সুফল অর্জন করার প্রয়াস চালিয়ে চিরস্থায়ী সুখভোগের যোগ্য হই। মহান আল্লাহ সকলকে তৌফিক দান করুন।
লেখক : শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ, চকবাজার, ঢাকা-১২১১
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।