পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গর্ভধারণের সময় পরিপূর্ণ চিকিৎসা নেয় শহরের মাত্র ৫৩ ভাগ নারী। অর্থাৎ ৪৭ ভাগ নারীই সঠিক যত্ন পান না। ১৬ বছরেও পাল্টায়নি এই চিত্র। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) এক গবেষণায় এই বাস্তবতা উঠে এসেছে। চিকিৎসকেরা সতর্ক করছেন, গর্ভকালীন চেক-আপের আওতায় থাকা নারীর হার না বাড়লে ঝুঁকিপূর্ণ মায়ের সংখ্যা বাড়বে। বাড়বে, শিশু ও মাতৃমৃত্যু।
দেশে বেড়েই চলেছে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ। সন্তান নেয়ার আগে বেশিরভাগ দম্পতিরই সঠিক পরিকল্পনা থাকে না। গর্ভকালীন ঝুঁকি, পুষ্টি ও চিকিৎসা বিষয়ে তথ্যও অজানা তাদের।
সরকারের জনসংখ্যা গবেষণা প্রতিষ্ঠান-নিপোর্টের জরিপ বলছে, গর্ভধারণের পরও চিকিৎসা নিয়ে সচেতন নন প্রায় অর্ধেক নারী। ২০০৬ সালে গর্ভকালীন ৪টির বেশি চেক-আপ করার হার ছিল ৫৩ ভাগ। ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয় ৫৮, আর সবশেষ ২০২১ সালে হার কমে আবারও নামে ৫৩ শতাংশে। অর্থাৎ ৪৭ ভাগ নারীই থাকছেন গর্ভকালীন চেক আপের বাইরে। বস্তি এলাকায় তা ৬০ ভাগ।
চিকিৎসকেরা বলছেন, গর্ভকালীন সঠিক যত্ন না নিলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও থাইরয়েডের কারণে বড় ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। জন্মগত ত্রুটির শিকার হতে পারে নবজাতকও।
গর্ভকালে রক্ত, রক্তচাপ, ওজনসহ অন্তত ৪ ধরনের পরীক্ষা ও নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। এতে নিশ্চিত হবে গর্ভের সন্তানের সঠিক পুষ্টি, সুরক্ষিত থাকবে মায়ের স্বাস্থ্য।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও চিকিৎসা সেবার মান বাড়লেও গর্ভকালীন চিকিৎসা নেয়ার হার কমে যাওয়া দুঃখজনক, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।