Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দ আশরাফের জীবন থেকে অনেক শেখার আছে

কর্মীদের সান্ত্বনা দিতেই বিএনপি নেতাদের হাঁকডাক সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খন্দকার মোশাররফ সাহেবসহ অন্যান্য বিএনপি নেতারা আসলে কর্মীদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই বড় গলায় কথা বলে। বিএনপির এই হাঁকডাক আসলে খালি কলসি বেশি বাজার মতো, তার চেয়ে বেশি কিছু না। তারা কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, পারবেও না।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া বারী লিপি এমপি ও পরিবারের সদস্যরা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন। বিএনপি নেতাদের মুখে বারবার সরকারের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বিএনপির এ সমস্ত কথা গৎবাঁধা। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার কয়েক মাস পর থেকেই এ কথাগুলো বলা শুরু করেছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের নেতাকর্মীরাই তাদের সাথে নেই। ১০ ডিসেম্বর তারা যেভাবে হাঁকডাক করেছিল, এরপর যখন তাদের সমাবেশে ১০ লাখ মানুষের কথা বলে ৫০ হাজারের মতো মানুষ হলো এরপর থেকে বিএনপির নেতারা তাদের কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। এখন সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা তাদের কর্মীরাও তাদের সাথে নেই।

বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আজকে সমগ্র পৃথিবী তার প্রশংসা করছে, দেশের জনগণও আওয়ামী লীগের সাথে আছে, সরকারের সাথে আছে’ বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী।
এর আগে সৈয়দ আশরাফ স্মরণে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি জাতীয় চার নেতার অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন সেই সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দু’বারের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার মৃত্যুটা আমাদের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত, অল্প বয়সেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি একজন সজ্জন পরিশীলিত মানুষ ছিলেন। লোভ-লালসার পেছনে তিনি কখনো ছোটেননি। রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। তার কাছে নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

বাংলাদেশ সরকারের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের পয়লা জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত সৈয়দ আশরাফ ছাত্রলীগের বৃহত্তর ময়মনসিংহ শাখার সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক ও পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরপর পাঁচবার তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এবং পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ৩ জানুয়ারি ২০১৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ