পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। উদ্বোধনের পরদিন বৃহস্পতিবার থেকেই যাত্রীরা যাতায়াত শুরু করবেন। এই যাত্রীদের স্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি বিশেষ বাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পথে বিআরটিসির ২০টি দ্বিতল বাস চলাচল করবে। আর উত্তরার হাউজ বিল্ডিং থেকে ১০টি দ্বিতল বাস চলবে দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন পর্যন্ত।
বিআরটিসি সূত্র জানিয়েছে, এ লক্ষ্যে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সঙ্গে গত ১৭ নভেম্বর চুক্তি সই হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর বিআরটিসির বাসগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে মহড়াও দিয়েছে।
বিআরটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকার নগর পরিবহনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) যে ভাড়ার হার নির্ধারণ করে দিয়েছে, বিআরটিসির বাসে সেই ভাড়াই আদায় করা হবে। মেট্রোরেলের যাত্রী চাহিদা বাড়লে বিআরটিসির বাসের সংখ্যাও বাড়তে পারে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল চলবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনের সামনের স্টেশন পর্যন্ত। এখন নগরে বাসের যে রুট আছে, তাতে মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে বাস চলাচলের পথ তিন চার কিলোমিটার দূরে। এই পরিস্থিতি উত্তরার যাত্রীদের স্টেশনে পৌঁছাতে রিকশা, অটোরিকশা কিংবা ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার করতে হতো। আগারগাঁও স্টেশন থেকেও বাস পাওয়া কঠিন। এ জন্যই বিশেষ বাস চালুর বিষয়টি নিয়ে বিআরটিসির সঙ্গে ডিএমটিসিএলের দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলেছে।
বিআরটিসি সূত্র জানিয়েছে, আগারগাঁও থেকে যে রুটটি চালু করা হচ্ছে, সেটি ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান হয়ে মতিঝিল যাবে। একই সঙ্গে এই পথে মেট্রোর আগারগাঁও স্টেশনে যাত্রীদের নিয়ে আসবে। আরেকটি রুট উত্তরার হাউজ বিল্ডিং থেকে আবদুল্লাহপুর হয়ে দিয়াবাড়ির উত্তরা উত্তর স্টেশনে চলাচল করবে।
শুরুর তিন মাস পর্যন্ত মেট্রোরেল শুধু মাঝপথে না থেমে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে। অন্তত তিন মাস প্রতিটি ট্রেনে ২০০এর বেশি যাত্রী তোলা হবে না। মানুষকে অভ্যস্ত করার জন্য যাত্রীসংখ্যা, স্টেশন এবং অন্যান্য সুবিধা কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে যাত্রীদের যাতায়াতে যে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট। ট্রেনের সংখ্যা এবং যাত্রী বাড়লে বাস বাড়ানো লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
এ বিষয়ে বিআরটিসির মহাব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন বলেন, মেট্রোরেলের যাত্রী চাহিদা মেনে বিআরটিসির পর্যাপ্ত বাস চালানো হবে। পুরো ঢাকাতেই বিআরটিসির বাস রুট আছে। প্রয়োজন হলে আরও রুট বাড়ানো হবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।