পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তারেক সালমান : দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যেই টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যেতে দলীয় নেতাদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। জনজরিপে দলের অবস্থান ‘যাচাই’ করতেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সেজন্য নারায়ণগঞ্জে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই এখন সরকারি দল আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর ভোটের ফল যা-ই হোক না কেন এ চ্যালেঞ্জে জিততে চান আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারকরা। এ জন্য সরকারি দলটি মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর জয়ের ব্যাপারেও অনেকটাই নিশ্চিত। দল ও সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে সরকারের এ মনোভাবের কথা ফুটে উঠেছে।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জে একদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং অন্যদিকে দলীয় প্রার্থীর বিজয় দু’টিকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে সে ক্ষেত্রে জয়ের ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দেয়া হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় দিতে নারাজ দলটি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও এ ব্যাপারে তার কঠোর মনোভাবের কথা দলের নীতিনির্ধারকদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে এ যাবৎ কোনো অভিযোগ করেনি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্বাধীন এবং কর্তৃত্বপূর্ণ হোক আমরা তা মনে-প্রাণেই চাই। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার নির্দেশনা আছে নির্বাচন ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’ হতে হবে। তার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমিও বলছি, আমাদের সরকার ও দল একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। এটাই আমরা চাই। এটাই আমাদের নেত্রীর নির্দেশ।
দেশের সপ্তম এ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের ‘জনপ্রিয়’ মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর হাতে নৌকাটা তুলে দিয়ে জনপ্রিয়তার বিচারে ‘ভুল’ শুধরিয়ে নিতেই আজকের অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে আওয়ামী লীগের।
দলীয় নেতারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অবস্থান অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তার সঙ্গে আইভীর নিজস্ব ইমেজ এর আগে দেখেনি দলটি। তাই আজকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সিটি কর্পোরেশনটিতে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ সাফল্য দেখছে দলটির নেতারা। মুলত ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ‘জনপ্রিয়তা’ যাচাই করতে চায় আওয়ামী লীগ। সে হিসেবে নাসিক নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করাই এখন আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আঁটঘাট বেঁধে গত দুই সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রের পরিকল্পনা মোতাবেক আইভীর পক্ষে নাসিকের আনাচে-কানাচে ঘুরেছেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন থেকে একই সঙ্গে দু’টি বিজয় ঘরে তুলে আনতে চায় আওয়ামী লীগ। একদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করে সমালোচকদের জবাব দিয়ে বিএনপিকে আস্থায় আনা এবং অন্যদিকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম ও কৌশল প্রয়োগ করে নৌকার জয় নিশ্চিত করে সরকারের জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিতে চান নীতিনির্ধারকরা। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনোভাবেই সরকারবিরোধী আন্দোলনের নতুন ইস্যু তৈরি না হয় সে দিকে বিশেষ নজর রয়েছে সরকারি দলটির।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এতে জয়-পরাজয় যেটাই হোক না কেন তা মেনে নেবে আওয়ামী লীগ। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মাঠ নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন উঠুক তা আমরা কোনোভাবেই চাই না। তবে নৌকার পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে সেলিনা হায়াৎ আইভীর জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: দিপু মণি বলেন, নৌকার পক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছে নেতারা। মাঠ জরিপে আমরা যতটুকু দেখেছিÑ তাতে জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী। সেখানে আওয়ামী লীগের অবস্থান অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো বলেও জানান তিনি। অপরদিকে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে বর্তমান সরকারের সাফল্য নিয়ে নাসিকে প্রচারণা চালিয়েছি। আশা করছি আমরা শতভাগ সফল হবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।